ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঝলমলে রোদেও নীলফামারীতে শীতের তীব্রতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
ঝলমলে রোদেও নীলফামারীতে শীতের তীব্রতা

নীলফামারী: ঝলমলে রোদে গা তাপিয়ে নেওয়ার সুযোগ মিললেও গোটা জনপদে শীত অনুভূত হচ্ছে। রোদের মাঝেও সোয়েটার-জ্যাকেট পড়ে চলাচল করতে হচ্ছে নীলফামারী।

মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে এমনটি মনে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে নীলফামারীর পূর্বের আকাশে আলোকিত করে দেখা দেয় সূর্য। রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় কর্মব্যস্ততা বাড়ে মানুষের। তীব্র শীত আর টানা শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করলেও রোদের দেখা পাওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে এখানকার সাধারণ মানুষের মধ্যে।

এদিন সকাল থেকেই লোকজনকে কর্মব্যস্ত হতে দেখা যায়। রাস্তাঘাটে মানুষের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ে।

জেলার সৈয়দপুরের সাহেবপাড়ার গৃহবধূ সালমা বেগম (৪৫) বলেন, কয়েক দিন থেকে ঠাণ্ডায় তো জমে গেছি। আজ সকাল ৯টায় সূর্য ওঠায় ভালোই লাগছে। কাজকর্ম করতে স্বস্তি লাগছে। রোদ ওঠায় বেশ কয়েকদিনের জমে থাকা কাপড়চোপড় পরিষ্কার করা যাবে।

জেলার জলঢাকার গোলমুণ্ডার কৃষক রমিজ আলম (৫৬) বলেন, আলুক্ষেত আর ধানের বীজতলা নিয়ে খুব পেরেশানিতে আছি। রোদ ওঠায় টেনশন কিছুটা কমল। এছাড়া রোদ উঠায় কাজের আনন্দ পাবো এখন।

জেলার কিশোরগঞ্জ এলাকার ইজিবাইকচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেকে আয়-রোজগার একেবারে নেই বললেই চলে। আজকে সকালে রোদ ওঠায় শহরে মানুষজনের চলাচল বেড়েছে। আশা করি আয় কিছুটা বাড়বে।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার পর সূর্য উঁকি দিয়েছে আকাশে। রোববার নীলফামারীতে তাপমাত্রা ছিল ৬ ডিগ্রি ও সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশ পরিষ্কার থাকলেও শীত অনুভূত হচ্ছে। শিডিউল মেনে বিমান চলাচল করছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।