ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

স্বামীর প্ররোচনায় জনপ্রতিনিধির হাতে নির্যাতিত হওয়ার অভিযোগ নারীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
স্বামীর প্ররোচনায় জনপ্রতিনিধির হাতে নির্যাতিত হওয়ার অভিযোগ নারীর

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির গুইমারায় স্বামীর প্ররোচনায় এক জনপ্রতিনিধির হাতে শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মিলকী বড়ুয়া নামে এক নারী। তিনি ওই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তিও দাবি করেছেন।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মিলকী বড়ুয়া তার ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন এবং ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ করেন।

মিলকী জানান, ভালোবেসে ১৯৯৯ সালে গুইমারার বটতলীর মন্টু কার্বারী পাড়ার চাইহ্লা প্রু মারমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর পরিবারের সচ্ছলতার জন্য তার আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় স্বামীকে ফ্রান্সে পাঠান। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর তার স্বামীর আচরণে পরিবর্তন আসে। সাংসারিক অশান্তি শুরু করেন তিনি। এক পর্যায়ে ডিভোর্সের জন্য মিলকীকে চাপ দেন এবং অপর এক নারীকে বিয়ে করেন।

এর মধ্যে মিলকী গত ১১ জানুয়ারি তার এক আত্মীয়সহ স্বামীর ঘরে থাকা নিজের মালামাল আনতে গেলে পরকীয়ার অভিযোগ এনে তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেদমভাবে মারধর ও নির্যাতন করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মংশ্যে চৌধুরীর নেতৃত্বে এই নির্যাতন হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মিলকী।

তিনি জানান, অবস্থা বেগতিক দেখে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় মিলকীকে। পুলিশ সাদাকাগজে স্বাক্ষর রেখে চিকিৎসার জন্য তাকে খাগড়াছড়ি পাঠিয়ে দেয়। চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ তা নেয়নি। পরে আদালতে মামলা রুজু করলে বিচারক এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে থানাকে নির্দেশ দেন। এরপরও পুলিশ নানা টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মিলকী ন্যায়বিচার পেতে পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।  

অবশ্য অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান মংশ্যে চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তার সাড়া মেলেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
এডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ