ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলা একাডেমির দিনব্যাপী কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলা একাডেমির দিনব্যাপী কর্মসূচি

ঢাকা: বাংলা একাডেমির ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের স্মৃতির প্রতি এবং সাড়ে ১০টায় বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্-র সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র চত্বরে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা শীর্ষক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তৃতা-২০২৩ করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর-এর সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। স্বাগত ভাষণ দেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর।

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাংলা একাডেমি বাংলা ও বাঙালির বাতিঘরের নাম। এই জনপদের সংগ্রামী ইতিহাসের চলন্ত সাক্ষ্য বাংলা একাডেমি। প্রায় সাত দশক ধরে বাংলা একাডেমি তার ধারাবাহিক নিবেদন ও কর্মের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে।

অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলার আকাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় উজ্জ্বল, মেধাবী, প্রজ্ঞাবান ও অন্তদৃর্ষ্টিসম্পন্ন রাজনৈতিক নক্ষত্রের আবির্ভাব ঘটেছিল বিধায় আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাচিন্তার যে বর্ণনা আমরা ইতিহাসে পাই, তা একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতার নিরিখে বলা যায় অসাধারণ ভবিষ্যৎ দর্শনের রূপরেখা।

খলিল আহমদ বলেন, ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে ৬৮ বছর যাবৎ বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও বাঙালি সংস্কৃতির লালন-বিকাশে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে চলেছে। বর্তমান সংস্কৃতিবান্ধব সরকার বাংলা একাডেমি এবং অন্যান্য জাতীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশের সবস্তরের মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক সাক্ষরতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বাংলা একাডেমির গভীরে আছে একটি সজীব-সচল প্রাণসত্তা। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের ইতিহাস-ঐতিহ্যের গর্বিত ধারক-বাহকের নাম বাংলা একাডেমি। ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা বলতেই পারি, বাংলা একাডেমি বাংলা ও বাঙালির প্রাণপ্রবাহ এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ড. মো. হাসান কবীর বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনাস্নাত বাংলা একাডেমি মুক্তিযুদ্ধজাত বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রত্যয়কে ধারণ করে বাংলা ও বাঙালির প্রাণের প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, একাডেমির সাবেক পরিচালক জাকিউল হক ও শফিকুর রহমান চৌধুরী, অধ্যাপক শওকত আরা হোসেন, কবি দিলারা হাফিজ, কবি লিলি হক, ড. ইসরাইল খান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দুপুরে একাডেমির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সুরভিত সন্ধ্যা শীর্ষক স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৩
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।