ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন: সোহেল তাজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন: সোহেল তাজ

ঢাকা: নিজের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

সোহেল তাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি গত দুই বছর ধরে স্মারকলিপি দিচ্ছি। গতকাল রাতে আমি তার সঙ্গে দেখা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। আমি আমার তিন দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি। প্রধানমন্ত্রী আমার দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত হয়েছেন। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন এবং কথা দিয়েছেন, শিগগিরই এই তিন দাবির বাস্তবায়ন হবে।  

তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও তাদের অতীত গৌরবকে জানাতে জেল হত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা, ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে যাদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে, তাদের অবদান ও জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা- এই তিন দাবি জানিয়েছি আমি।

জেল হত্যা দিবস এলেই জাতীয় চার নেতাকে মনে পড়ে, তাদের পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনার কথা শোনা যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো সরকারে নেই। আমি রাজনীতিতেও নেই। এ বিষয়ে আমি আসলে অবগত নই এই মুহূর্তে। এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

খুনিদের এখনো ফিরিয়ে না আনায় আক্ষেপ রয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের আক্ষেপের অনেক বিষয়ই আছে। এর মধ্যে একটি হলো আমরা সঠিক বিচার পাইনি। জেল হত্যার বিচারকার্যকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছিল ২০০১ সালের পর। আমরা তো এখন পর্যন্ত সঠিক বিচার পাইনি। সেখানে আক্ষেপের বিষয় আছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে আমাদের জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই জাতীয় চার নেতা ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তখন পাক হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে কারারুদ্ধ করে, ঠিক সেই সময়ে আমাদের চার সেনানী স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠন করে। সেই সরকারের মাধ্যমে বৈশ্বিক বৈরী পরিবেশ মোকাবিলা করে তারা সফলভাবে ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

সোহেল তাজ বলেন, লাখ লাখ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছিলেন। কারণ আমরা একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম। সেই স্বপ্ন হলো একটি সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন, যেখানে সবাই নিরাপদ বসবাস করতে পারবে। এখন আমার প্রশ্ন হলো, আমরা কি সেই বাংলাদেশ পেয়েছি আজ পর্যন্ত? এই প্রশ্নের উত্তর যদি না হয়, তাহলে কীভাবে আমরা সেই বাংলাদেশ পাব?

তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ গড়বে নতুন প্রজন্ম। নতুন প্রজন্ম যদি আমাদের সঠিক ইতিহাস জানে, আমাদের গৌরবের ইতিহাস জানে, তাহলে তারা অনুপ্রেরণা নিতে পারে। অনুপ্রাণিত হয়ে ভবিষ্যতে সেই বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারা সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। সেই লক্ষ্যে আমি তিন দফা দাবি জানিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২৩
পিএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।