ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অবরোধকারীদের ধরিয়ে দিন: ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২৩
অবরোধকারীদের ধরিয়ে দিন: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা: জনবিরোধী অবরোধকারীদের ধরিয়ে দিতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আহ্বান জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, অবরোধ কর্মসূচির নামে যা চলছে তা জনবিরোধী, জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচলবিরোধী। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যারা অবরোধে জড়িয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, যারা স্বাভাবিক নয়, অস্বাভাবিক পথে অবরোধ করছে, চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করছে, তাদের সম্পর্কে তথ্য দিন, ধরিয়ে দিন।

গত ২৮ অক্টোবর সহিংসতার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের ওপর হামলা করে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, জড়িতরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। তারা যেখানেই পালিয়ে যাক, যেভাবেই আত্মগোপন করুক না কেন, কোনোভাবেই তারা ছাড় পাবেন না। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করবেই। এজন্য পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করছে।  

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেককে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও আসামি গ্রেপ্তার করা হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে একজন বাংলাদেশিকে হাজির করে তারা রাজনৈতিক অফিসে এনে মিডিয়ার সামনে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলিয়েছেন। প্রচলিত আইনে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। তার সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের একজন আমরা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছি। আরও যারা জড়িত, তাদের আমরা গ্রেপ্তার করব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমে সারাদেশের মানুষ সেদিনের ঘটনা দেখেছে। পুলিশ নয়, তারাই একের পর এক উসকানি দিয়েছে। পুলিশ শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গেও পুলিশ কথা বলেছিল। যারা বিশৃঙ্খলা করেছেন তাদের সামলাতে বলা হয়েছিল। একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও তারা কিছু করেননি। পরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর আক্রমণ, পুলিশ সদস্য হত্যাসহ ধ্বংসযজ্ঞ তারা চালিয়েছে, বিশৃঙ্খলা করেছে। এটিই প্রমাণ করে, যা যা ঘটেছে তাতে তাদের সায় ছিল, তাদের নির্দেশক্রমেই ঘটনাগুলো ঘটেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২৩
পিএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।