ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীতে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, নেই গণপরিবহন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
রাজধানীতে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, নেই গণপরিবহন

ঢাকা: রাজধানীতে দেশের বৃহৎ দুই দল- আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে আতঙ্কে সকাল থেকে বাসের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সড়কে দেখা মিলছে না কোনো গণপরিবহন।

 

বাস ছাড়াও সিএনজি, রাইড শেয়ারিং-এর কার, ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য বাহনও তেমন দেখা যাচ্ছে না। ফলে সকাল থেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা। বাইরে কোনো যানবাহন না পেয়ে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকে অপেক্ষার পরে কোনো উপায় না পেয়ে বাসায় ফেরত যাচ্ছেন।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রামপুরা, খিলক্ষেত, বনানী, কুড়িলসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র।

অফিস করতে কারওয়ানবাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী ইশরাত জাহান চৈতী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনো বাস-সিএনজি পাইনি। উবার, পাঠাও’তে রাইডও পাওয়া যাচ্ছে না। ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পর কোনো বাহন না পাওয়ায় বাসায় ফিরে যাচ্ছি।

তবে অনেকক্ষণ পর অন্য রুটের একটি বাস আসছে, সে রুটের যাত্রীরা সবাই হুড়োহুড়ি করে ওঠার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।

কুড়িলে বাসের অপেক্ষা করতে থাকা যাত্রী সৌরভ খন্দকার বলেন, রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তায় বাস নেই বললেই চলে। আধা ঘণ্টা পর পর একটা করে বাসের দেখা মিলছে। তাও সব রুটের বাস নেই।

এদিকে রামপুরা টিভি সেন্টার এলাকায় কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাওয়া যাচ্ছে। তবে গণপরিবহন না থাকার সুযোগে তারা দ্বিগুণ-তিনগুণেরও বেশি ভাড়া হাঁকাচ্ছেন।

সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী সাধারণ যাত্রীরা।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বড় দুই দলের সমাবেশকে ঘিরে এমনিতেই আশঙ্কা আছে। এ জন্য চালকরা রাস্তায় যানবাহন কম নামিয়েছেন। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো অনেক বাস ভাড়া করেছে, সে কারণেও বাসের সংখ্যা কম।

তবে যানবাহন কম চালানোর বিষয়ে মালিক সমিতি কোনো নির্দেশনা দেয়নি বলে জানান এ পরিবহন নেতা।

এদিকে দুপুর ২টায় নয়াপল্টনের দক্ষিণ গেটে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হবে। অন্যদিকে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। দুপুর ২টায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে তারা সমাবেশ শুরু করবে। এছাড়া অনুমতি না পেলেও জামায়াতে ইসলামী রাজধানীর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।

কারওয়ান বাজার এফডিসি সংলগ্ন এলডিপি কার্যালয়ের সামনে বিকেল ৩টায় সমাবেশ করবে এলডিপি, বিকেল ৩টায় মালিবাগ মোড়ে সমাবেশ করবে এনডিএম ও বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে দুপুর ২টায় সমাবেশ করবে ১২ দলীয় জোট।

এছাড়া বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে বেলা ১১টায় সমাবেশ করবে গণঅধিকার পরিষদ (নুরুল হক), পুরানো পল্টন আলরাজী কমপ্লেক্সের সামনে দুপুর ২টায় সমাবেশ করবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, পুরানো পল্টন কালভার্ট এলাকায় বিকেল ৩টায় সমাবেশ করবে গণঅধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া) ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুপুর ১২টায় সমাবেশ করবে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিকেল ৩টায় সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ, মতিঝিল নটর ডেম কলেজের উল্টো দিকে দুপুর ১২টায় সমাবেশ করবে গণফোরাম ও পিপলস পার্টি ও পুরানো পল্টন মোড়ে বিকেল ৪টায় সমাবেশ করবে লেবার পার্টি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
এনবি/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।