ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শাহজালাল বিমানবন্দরে হচ্ছে ‘সিকিউরিটি কন্ট্রোল সেন্টার’

মাছুম কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
শাহজালাল বিমানবন্দরে হচ্ছে ‘সিকিউরিটি কন্ট্রোল সেন্টার’

ঢাকা: যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধ তথা পরিচালন কার্যক্রমে গতি আনার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গঠন করা হচ্ছে ‘এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার’। বিমানবন্দরে সেবার মান বৃদ্ধি ও সার্বিক দিক সমন্বয় করতেও কন্ট্রোল সেন্টারটি ভূমিকা রাখবে।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিংয়ের (আংশিক উদ্বোধন) পর বাংলাদেশে বিমান পরিচালনায় আগ্রহ জানিয়েছে অনেকগুলো দেশ। ফলে, যাত্রী হয়রানি দূর করতে ও সেবার মান উন্নয়নে নজর বেবিচকের। সেন্টারটি গঠনে বেশ কিছু প্রযুক্তিগত সহায়তার বিষয়ে কথা হয়েছে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান থ্যালাসের সঙ্গে। কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপনে প্রাথমিকভাবে ৭৫ কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিমানবন্দরে যে এয়ারপোর্ট অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার গঠিত হবে এ বিষয়ে অন্তত ১ বছর ধরে কথা হচ্ছে।

কিভাবে এই সেন্টার কাজ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, এটা মূলত একটা বড় কন্ট্রোলরূম। যেখানে বিমানবন্দরের সাঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেকটি স্টেকহোল্ডার একসঙ্গে, এক জায়গায় বসে কাজ করবে। মনে করুন যদি ইমিগ্রেশনে যাত্রীর চাপ বেশি থাকে সেখানে দু'জন অতিরিক্ত কর্মকর্তা পাঠানো হল, আবার কাস্টমসে চাপ বেশি হয় সেখানে কয়েকজন কর্মকর্তা পাঠানো হল। এই সবগুলো কাজ একসঙ্গে একই জায়গায় বসে পরিচালনা করতে সাহায্য করবে এই কন্ট্রোল সেন্টার।

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশের বিমানবন্দরে এরকম কন্ট্রোল সেন্টার আছে। যেমন: হিথ্রো, দুবাই, জেদ্দার বিমানবন্দরে এরকম সেন্টার রয়েছে। মূলত তারাই এ বিষয়ে আগ্রহ জানিয়েছে। অনেকদিন ধরেই এটি বাস্তবায়ন নিয়ে কথা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বেবিচকের সদ্যবিদায়ী সদস্য (নিরাপত্তা) গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফী গণমাধ্যমকে বলেছেন, আধুনিক বিমানবন্দর কর্মপন্থার ওপর নির্ভর করে। অর্থাৎ সেবার মান বৃদ্ধির জন্য কাজ করা, সঠিকভাবে এর দেখভাল করা এবং কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে ভুলত্রুটি সংশোধন করতে হয়। এটিই একটি বিমানবন্দর পরিচালনার মূল দর্শন হওয়া উচিত। বিমানবন্দরে কী ধরনের কাঠামোগত প্রক্রিয়া রয়েছে, তাকে নির্দেশ করে পরদিনের কর্মপন্থা নির্ধারণ করা উচিত। যে ধরনের কাজের জন্য যে ধরনের মানবসম্পদ দরকার, সেগুলো নির্ধারণ করা উচিত। একই সঙ্গে কাজটি ঠিকভাবে হয়েছে কিনা, তারও তদারকি করা উচিত। অপারেশনাল কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে এসব কাজ করা হয়ে থাকে বা করা দরকার।  

তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, গ্রাউন্ড প্যানেলিং, এয়ারপোর্ট অপারেশন, নিরাপত্তা, এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টসহ সব বিষয় সমন্বিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে একটি কন্ট্রোল সেন্টার থাকতে হয়। উন্নত দেশের বিমানবন্দরগুলোতে কন্ট্রোল সেন্টার থাকে। এটি একটি বিমানবন্দরের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু হিসেবে কাজ করে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
এমকে/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।