ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদর ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২৩
কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদর ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা

ঢাকা: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ‘স্বভাবকবি’–খ্যাত রাধাপদ রায়ের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।

নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত কবিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকায় আনা ও তার চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

 

সোমবার (২ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে বিভিন্ন পেশার ২১ জন নাগরিক এ দাবি জানান। একই সঙ্গে রাধাপদ রায়ের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন বিবৃতিদাতারা।  

তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনার তিন দিনেও রাধাপদ রায়ের ওপর প্রকাশ্যে পৈশাচিক হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা অথবা গ্রেপ্তার করতে না পারা স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা। এ ব্যর্থতার দায়ভার সংশ্লিষ্ট থানার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এড়াতে পারে না।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নে কবির নিজগ্রামে তার ওপর এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় চিহ্নিত হামলাকারী দুই ভাই রফিকুল ইসলাম ও কদুর আলীর নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও গ্রেপ্তার না করা অত্যন্ত দুঃখজনক।  

বিবৃতিতে বলা হয়, স্থানীয় মানুষের কাছে স্বভাবকবি নামে পরিচিত রাধাপদ রায় একজন বাউল সাধক ও শিল্পী। তার মতো এক বৃদ্ধের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা দেওয়ার শামিল।  

অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে স্থানীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে; যা মোটেও প্রত্যাশিত নয়।     

বিবৃতিদাতারা হলেন- কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, বিশিষ্ট শিশুসংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) কার্যকরী সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, নৌ-সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, জ্যেষ্ঠ নৌ প্রকৌশলী মো. আবদুল হামিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিকলাল ঘোষ, প্রভারটি ইমুলিনেশন অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যারের (পিস) নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ, সাংবাদিক ও শিশুসংগঠক রাজন ভট্টাচার্য, সচেতন সংস্থার আহ্বায়ক সাকিলা পারভিন, জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সুজন, ঢাকা উত্তর নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা কামাল আকন্দ, পুরনো ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন ও মুক্তি শিখার আহ্বায়ক জিহাদ আরিফ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২৩   
এনবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।