ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুলাউড়ায় আটক ১৭ জঙ্গির মধ্যে আছেন ডাক্তার, প্রকৌশলী

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
কুলাউড়ায় আটক ১৭ জঙ্গির মধ্যে আছেন ডাক্তার, প্রকৌশলী বক্তব্য রাখছেন ‘সিটিটিসি’ প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গি সন্দেহে জনতার হাতে আটককৃতদের ১৭ জনের মধ্যে ডাক্তার, প্রকৌশলীও রয়েছে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আটককৃতদের মধ্যে ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ারসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন।

তিনি বলেন, আটককৃতরা জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’র সদস্য বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আমরা আগেই বলেছিলাম যে তাদের আরও আস্তানা এখানে আছে। এই ধারাবাহিকতায় সোমবার তারা আস্তানা থেকে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে।

তিনি আরো বলেন, যেহেতু এখানে অনেক ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার আছে, তাই তাদের আরও গভীর জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। যার কারণে আমরা আগামীকাল সকালে ওই এলাকায় আবার অভিযান চালাব। এখন পর্যন্ত অভিযানের স্বার্থে তাদের পরিচয় কিংবা অন্য কিছু নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। অভিযান শেষে বিস্তারিত  জানানো হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার  মো. মনজুর রহমান পিপিএম (বার) ও কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার সফিক, কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেকসহ পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।

জনতার হাতে আটককৃত ১৭ জঙ্গিকে  কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ৩টি মাক্রোবাসে করে কর্মধা ইউপি কার্যালয় থেকে পুলিশে হেফাজতে অন্যত্র নেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে তাদেরকে আছকরাবাদ বাজার সংলগ্ন সিএনজি গাড়ি স্ট্যান্ড থেকে মৌলভীবাজার  ও ফুলতলা যাওয়ার পথে আটক করে গাড়ি চালক ও স্থানীয় জনতা।

সিএনজি চালিত অটোরিকশা কুদ্দুস জানান, সকালের দিকে তাদের সিএনজি স্ট্যান্ডে কয়েকজন অপরিচিত লোক খালি পায়ে কর্দমাক্ত অবস্থায় আমাদের কাছে আছে। তখন তাদের সাথে একজন শারিরিক প্রতিবন্ধী লোকও ছিল। নিজেদের পর্যটক পরিচয় দিয়ে তাদের গন্তব্য জানতে চায়। তাদের কথাবার্তায় আমাদের সন্দেহ। স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় তখন আমরা তাদের আটক করে কৌশলে ইউনিয়ন কার্যালয়ের ভেতর নিয়ে আসি।

পুলিশ সূত্র জানায়, সিএনজি চালিত ৩টি সিএনজি অটোরিকশা যোগে ওই এলাকা ত্যাগের সময় জনতা তাদের আটক করে। একই সময়ে রবিরবাজার এলাকায় চলে যাওয়া ১টি অটোরিকশায় জঙ্গি দলের ইমাম মাহমুদ সহ ৩ জনকে আটক করে। নতুন জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমুদের কাফেলার টিম প্রধান জনতার হাতে আটককৃত এই ১৭ জঙ্গির মধ্যে রয়েছেন। তাদের বয়স ২৫-৫০ এর ভেতরে হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার (১২ আগস্ট) একই ইউনিয়নের থেকে ১০ জঙ্গি গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এসময় ৩ শিশু  উদ্ধার করা  হয়।
                                                                                      
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
বিবিবি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।