ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শ্রমিক-নেতাকর্মী হত্যা বন্ধসহ ৬ দাবি জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
শ্রমিক-নেতাকর্মী হত্যা বন্ধসহ ৬ দাবি জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিক ও নেতাকর্মী হত্যা বন্ধসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন (এনজিডব্লিউএফ)।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানান ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা।

তাদের দাবিগুলো হলো-

১. এ্যাপারেলস এক্সোসরিজ অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেডের শ্রমিক মো. রবিউল ইসলামের হত্যাকারী সব আসামি ও ইন্ধনদাতাদের গ্রেপ্তার করা।

২. এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব আসামির সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিত করা।

৩. নিহত ২ শ্রমিকের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন-১২১ অনুযায়ী আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা।

৪. ক্ষতিপূরণের দায়ভার সংশ্লিস্ট গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ, সব বায়ার, বিজিএমইএ এবং সরকারকে বহন করা।

৫. অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিক এবং নেতাকর্মী হত্যা বন্ধে সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৬. বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিক এবং নেতাকর্মী হত্যা বন্ধে সব স্থানীয় ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রম অধিকার বিষয়ক সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, গ্লোবাল ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনস, আইএলওসহ আন্তর্জাতিক মহলকে এগিয়ে আসা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, গাজীপুরে গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা শহিদুলের রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতেই আরও ২ গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মীকে হত্যা করা হলো। তাদের একজন আশুলিয়ার এ্যাপারেলস এক্সোসরিজ অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেডের শ্রমিক মো. রবিউল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে গার্মেন্টস মালিকদের ভাড়াটে বাহিনী।

অপরদিকে, ঢাকার আদাবরে সাইনেস্ট ওয়াশিং লিমিটেডে (সাইনেষ্ট গ্রুপ) মালিক এবং বায়ারদের অবহেলাজনিত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিক মো. রবিউল ইসলাম। এ দুই হত্যাকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরতে আজকের এ সংবাদ সম্মেলন।

তিনি আরও বলেন, কয়কদিন আগে শহিদুলকে মেরে ফেলা হলো। আমরা লাশ দাফন করলাম। তার পরিবারের পাশে দাঁড়ালাম। এখন আবার দুই শ্রমিককে হত্যা করা হলো৷ তার মানে কি প্রতিমাসে গার্মেন্টস মালিকরা তাদের ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক বা নেতাদের হত্যা করবে। আর সরকার তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে? আমরা তা হতে দেব না।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইটিইউসি বাংলাদেশ কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা শাকিল আকতার চৌধুরী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহম্মেদ, ইউনিবিএলসি এর কো-অর্ডিনেটর মোস্তফা কামাল, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সাব্বাহ আলী খান কলিন্স ও বাংলাতেশ ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।