ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খোয়া যাওয়া ১৭ মোবাইল ফোন ফিরে পেলেন মালিকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
খোয়া যাওয়া ১৭ মোবাইল ফোন ফিরে পেলেন মালিকরা

বরিশাল: দেশের বিভিন্ন স্থানে থেকে চুরি-ছিনতাই হওয়াসহ হারিয়ে যাওয়া ১৭ মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দিল বরিশালের-১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

রোববার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টায় বরিশালের-১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে মালিকদের হাতে মোবাইলগুলো তুলে দেন কমান্ডিং অফিসার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা।

এ সময় তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খোয়া যাওয়া ১৭টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দিচ্ছি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ১০০টির ওপরে চুরি বা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। হারানো মোবাইল ফোন ফিরে পেয়ে খুশি তারা।  

তিনি আরও বলেন, এ মোবাইল ফোনগুলো যে শুধু বরিশাল রেঞ্জ বা মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে খোয়া গেছে এমন নয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনও আমরা উদ্ধার করেছি।

কমান্ডিং অফিসার বলেন, বিভিন্ন থানা থেকে সাধারণ ডায়েরি সংগ্রহ করে মোবাইল ফোন উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করলেও এখন অনেকেই আমাদের কাছে অভিযোগ দিচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই নিজ থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি বা লিখিত অভিযোগ দিয়ে আসতে হবে।

ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, বিগত ২০২১ সালে কুমিল্লা থেকে আমার মোবাইল ফোনটি হারিয়ে যায়। দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর পরে আমার হারানো মোবাইল ফোন ফিরে পেয়েছি। আজ বিনা খরচে ফোনটি হাতে পেলাম। যারা উদ্ধার করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ। আমি এপিবিএন পুলিশের কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

বরিশাল বিএম কলেজের বিবিএ অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আঁখি আক্তার বলেন, দীর্ঘ ১০ মাস আগে বরিশাল আমতলার মোড় এলাকা থেকে আমার মোবাইল ফোনটি হারিয়ে যায়। পরে আমি থানায় জিডি করে এপিবিএনের সাইবার টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের হাতে জিডির কপি দিয়ে দেই। আজ আমার ফোনটি হাতে পেলাম। এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি এপিবিএন পুলিশের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।

কমান্ডিং অফিসার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা বলেন, মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধার হলেও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। কারণ ফোনগুলো পাওয়া বা নেওয়ার পর প্রকৃতপক্ষে কয়েক হাত ঘুরেছে। তাই প্রকৃত দোষীদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাই ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেনার আগে অবশ্যই কাগজপত্র যাচাই করে নেওয়া উচিত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসরিন জাহান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার দে, পুলিশ পরিদর্শক শাহ মো. ফয়সাল আহমেদসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
এমএস/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।