ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গোপালগঞ্জে অ্যাম্বুলেন্স-লোবেটের সংঘর্ষে চারজন নিহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৬ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
গোপালগঞ্জে অ্যাম্বুলেন্স-লোবেটের সংঘর্ষে চারজন নিহত

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আরামবাগ এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে মাটিকাটা স্কেবেটরবহনকারী লোবেটের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।

হতাহতরা সবাই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

নিহতরা হলেন- রোগী অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক (মেডিসিন) সামচুল আলম (৬৫), অ্যাম্বুলেন্সচালক মো. মোমিন (৪০), অ্যাম্বুলেন্স হেলপার মো. ফয়সাল (৩৫) ও মডার্ন সাইকিয়াটিক হাসপাতাল লিমিটেডের স্টাফ জুয়েল হাসান (২৫)।  

আহত চারজনের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খুলনা থেকে রোগী নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে বিপরীত দিক থেকে আসা ঘোনাপাড়াগামী মাটিকাটা স্কেবেটরবহনকারী লোবেটের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গাড়ি দুইটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্সচালক মোমিন নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হয় রোগী সামচুল আলমের। আর হাসপাতালে আনার পর জুয়েল ও ফয়সালের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত হন চারজন। এদের মধ্যে তিনজনকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  

গোপালগঞ্জ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জুয়েল সরকার বলেন, দুইজন হাসপাতালে আনার আগে ও দুইজন হাসপাতালে আসার পর মৃত্যুবরণ করেছেন।  

গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক খান মো. শরীফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি অ্যাম্বুলেন্সটির দ্রুতগতি ছিল। যে কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লোবেটের সঙ্গে এসে ধাক্কা দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নিহত সামচুল আলমের ছেলে রিশাদুল আলম বলেন, আমার বাবা প্রায় তিন বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। উনার চিকিৎসার জন্য কেরানীগঞ্জের মডার্ন সাইকিয়াটিক প্রাইভেট হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। আগেও এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে কল করা হয়। হাসপাতালের লোকজনই বাবাকে নিয়ে রওনা হয়। পথে দুর্ঘটনায় এ মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনা।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া নিহতদের পরিবার প্রতি নগদ ২৫ হাজার ও আহতদের পরিবার প্রতি ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২৩/আপডেটেড: ১৮০৫ ঘণ্টা
আরএ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।