ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৫

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৩
সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৫

বরিশাল: ঝালকাঠীর সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ নামক তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন দগ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় নদীতে নিখোঁজ হয়েছে আরও কয়েকজন।  

শনিবার (০১ জুন) দুপুর ২টার দিকে ঝালকাঠি পৌর খেয়াঘাট সংলগ্ন নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে কীভাবে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা এখন কেউ জানাতে পারেনি।

দুপুর ২টা ৫ মিনিটে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ শুরু করে বলে জানিয়েছেন স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম।

বর্তমানে সেখানে ঝালকাঠির দুটি, রাজাপুর ও নলছিটির দুটি এবং বরিশাল নদী ফায়ার স্টেশন মিলিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ/ছয়টি ইউনিট কাজ করছে।

ঘটনাস্থলের থাকা সাংবাদিক আল আমিন তালুকদার জানান, তেলবাহী জাহাজটি কোথা থেকে এসেছে তা এখনও জানা যায়নি, তবে জাহাজটি দুদিন ধরে সুগন্ধা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল। আজ জাহাজে থাকা কয়েক লাখ লিটার জ্বালানি তেল খালাস করার কথা ছিল। তার আগেই হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় ও আগুন ধরে যায়।

এতে জাহাজের পেছনের দিকে থাকা গোটা মাস্টার ব্রিজের অংশ উড়ে গেছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত চারজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন নিখোঁজ থাকার কথা শোনা যাচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মহিতুল ইসলাম বিকেল পৌনে ৪টার দিকে জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে এখন পর্যন্ত চার/পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজের বাবুর্চি। আর দগ্ধ চারজনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাবুর্চি জানিয়েছেন জাহাজটিতে পেট্রল ও ডিজেল ভর্তি ছিল। বিস্ফোরণের সময় জাহাজের পেছনে মাস্টার ব্রিজের অংশটি উড়ে নদীতে পড়ে গেছে।

নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত আগুন লাগা তেলের জাহাজটির খালাসী বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশিবপুর এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে মাইনুল ইসলাম হৃদয়সহ (২৮) চারজন ভর্তি হয়েছেন। এরা হলো জাহাজের স্টাফ ফরিদুল ইসলাম (৬০), শাকিল (৩৫) ও ইকবাল হোসেন (৩০)। তবে তাদের সম্পূর্ণ পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৩
এমএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।