ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুই কোটি মানুষের সামর্থ্য থাকলেও আয়কর দেন ২৯ লাখ: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৩
দুই কোটি মানুষের সামর্থ্য থাকলেও আয়কর দেন ২৯ লাখ: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০৯ সালে ১১ লাখ মানুষ আয়কর দিতেন। গত ১৪ বছরে দেশের জিডিপি ৯ গুণ বাড়লেও আয়কর দেওয়ার হার মাত্র ৩ গুণ বেড়েছে।

বর্তমানে ২৯ লাখ মানুষ আয়কর দিলেও অন্তত ২ কোটি মানুষ আয়কর দিতে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।  

তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের কর-জিডিপির রেশিও নেপালের চেয়েও কম। কিন্তু আমাদের অর্থনীতি তাদের চেয়ে অনেক ভালো। সেজন্য রেশিও তাদের থেকে ভালো হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু মানুষ কর দেয় না।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গত ১৪ বছরে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হতে যাচ্ছে। এ সময়ে বাজেট ৯ গুণ বেড়েছে।

ডলার সংকটে বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শৈথিল্য আসায় বাজেট প্রণয়ন বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারপরও গত বছরের তুলনায় এক লাখ কোটি টাকার বেশি বাজেট এবার উত্থাপন করা হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তা বলয় বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এ অর্থবছর থেকেই সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দল দাবি জানায়নি, সরকার নিজে থেকেই এটা করছে।

খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার মুক্তির বাইরে জনমানুষ নিয়ে বিএনপির কোনো দাবি থাকে না বলেও এসময় মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।

কেউ দশ বছরের জন্য চাঁদা দিলে, দশ বছর পরে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, ৫০ এর বেশি বয়স হলেও চাঁদা দিয়ে পেনশন ব্যবস্থায় আসার সুযোগ রয়েছে।

সমস্ত প্রতিকূলতা স্বত্বেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে ২০টি দেশে ইতিবাচক জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে, এরমধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৮-৯ হলেও ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।

সিপিডির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, প্রতিবারই বাজেট ঘোষণার পরপরই তারা বিভিন্ন কথা বলেন। এ বছর বাজেট ঘোষণা চলমান অবস্থায় তারা বলেছে, এই বাজেট উচ্চাভিলাষী, বাজেট বাস্তবায়ন হবে না।

অথচ বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়নের গড় হার ৯৭ শতাংশ। ডলারের মূল্য না বাড়লে আমাদের মাথাপিছু আয় ৩০০০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেতো। দেশের জিডিপি বেড়েছে, দারিদ্র্য কমেছে। দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে কমে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

‘আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে এ বাজেট’- বিএনপির এমন দাবির প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বাজেট দিতে বাজেটের আগে প্যারিস ছুটে যেতেন সাহায্যের জন্য। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজেট কোনোভাবেই সাহায্য নির্ভর নয়। এ বাজেটে ১ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে।

চলতি বাজেট নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সমালোচনার জবাবে মন্ত্রী বলেছেন, বাজেট নিয়ে সমালোচনা থাকবে। ইতিবাচক সমালোচনাকে সরকার সব সময় স্বাগত জানায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭, জুন ০২, ২০২৩
এনবি/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।