ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস’ পালিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস’ পালিত

ঢাকা: বর্ণাঢ্য আয়োজনে সারাদেশে ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস’ পালন করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। শান্তিপূর্ণ ও মানবিক পৃথিবী প্রতিষ্ঠায় এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমরা সকল কাজই আন্তরিকভাবে করি’।

সোমবার (৮ মে) সকালে রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরে জাতীয় পতাকা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পতাকা, রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর-উর রহমান। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে তিনি বলেন, এবারের প্রতিপাদ্য আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় বিশ্বব্যাপী এই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীদের অবদানের কথা। বিশ্বের বিপদাপন্ন ও অসহায় মানুষের জন্য তাদের ত্যাগ ও ভালবাসার কথা।

পতাকা উত্তোলন শেষে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা বিশ্বের ১৯২টিরও বেশি দেশে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের উৎসাহিত করতেই এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘আমরা সকল কাজই আন্তরিকভাবে করি’।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বোর্ড সদস্য আরমা দত্ত এমপি, রাজিয়া সুলতানা লুনা, মোহাম্মদ আতিকুল হক শামীম, আইএফআরসির হেড অব ডেলিগেশন সঞ্জীব কুমার কাফলে, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ সোসাইটির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও যুব স্বেচ্ছাসেবকরা।

পরে রেড ক্রিসেন্ট যুব নীতিমালার মোড়ক উন্মোচন ও বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড ডিজাস্টার রিপোর্ট-২০২২ প্রকাশ করা হয়। এ সময় ৮ মে থেকে ৮ জুন সোসাইটির তহবিল সংগ্রহ মাস হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। সেই সঙ্গে আর্তমানবতার সেবায় দেশের সামর্থ্যবানদের রেড ক্রিসেন্টের পাশে থাকার আহ্বান জানানো হয়।

পরে বিশেষ এই দিবস উপলক্ষে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে শেষ হয়। সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবক ও সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে অংশ নেন।

‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রাজধানীর হলি ফ্যমিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের রোগীদের মাঝে ফুল বিতরণ করা হয়। জাতীয় সদর দপ্তরের পাশাপাশি সারাদেশে রেড ক্রিসেন্টের ৬৮টি ইউনিট তাদের নিজ নিজ আয়োজনে উদযাপন করছে দিবসটি।

১৮২৮ সালের ৮ মে রেড ক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা জীন হেনরি ডুনান্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্ম নেন। মহান এই ব্যক্তিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে প্রতিবছর তার জন্মদিনটিকে বিশ্ব রেড ক্রস-রেড ক্রিসেন্ট দিবস হিসেবে সারাবিশ্বে উদযাপন করা হয়। সে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয় দিবসটি।
 
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ৩১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি আদেশ (পিও-২৬) জারি করেন। এই আদেশের বলে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি স্বীকৃতি লাভ করে। এরপর ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তেহরানে রেড ক্রসের ২২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ রেড ক্রস সোসাইটি আন্তর্জাতিকভাবে পূর্ণ স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৮৮ সালে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ৮ মে, ২০২৩
এসসি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।