ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ওয়াশিংটনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
ওয়াশিংটনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

ঢাকা: ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথগ্রহণের ঘটনাকে স্মরণ করে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।

এ সময় দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম ও ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমান।

‘মুজিবনগর: বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও ৩০ লাখ শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  

তিনি বলেন, মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য একদিন এবং মুজিবনগর বাঙালি জাতির বীরত্বের প্রতীক।

রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করে। পরে এ বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়।

তিনি বলেন, প্রথম সরকার মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক মতামতকে সুসংহত করেছে।

রাষ্ট্রদূত ইমরান মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেনও আলোচনায় অংশ নিয়ে ঐতিহাসিক এ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথচলায় ১৭ এপ্রিল আরও একটি অবিস্মরণীয় দিন।

এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চারনেতা, মুক্তিযুদ্ধে জীবনদানকারী সব শহীদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে একটি বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। কর্মসূচি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল-৩) শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
টিআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।