ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টাঙ্গাইলে পাসপোর্ট অফিসের ‘ঘুষ’ নিয়ে মারামারির ঘটনায় মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
টাঙ্গাইলে পাসপোর্ট অফিসের ‘ঘুষ’ নিয়ে মারামারির ঘটনায় মামলা

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ‘ঘুষ’ নিয়ে মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষারীক মো. আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে কথিত দালাল আলাউদ্দিনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

 

মামলাটি বর্তমানে তদন্তে রয়েছে।

পাসপোর্ট অফিস, দালাল ও সাধারণ গ্রাহক সূত্রে জানা যায়, পাসপোর্ট প্রতি এক হাজার দুই ২০০ টাকা ‘চ্যানেল ফি’ দিতে হয়। এই টাকা না দিলে গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ আচারণসহ পাসপোর্টের আবেদনের ফাইল ছুড়ে ফেলা হয়। আর দালালের মাধ্যমে ১২ শ টাকা ‘চ্যানেল’ ফি দিলে সসম্মানে পাসপোর্ট করা হয়।  

অভিযোগ রয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে এক হাজার দুই ২০০ টাকা ‘চ্যানেল ফির’ জন্য আলাউদ্দিন নামের এক কথিত দালালকে অফিসে আটকে রাখেন আরিফুজ্জামান। আলাউদ্দিনকে মারধর করার অভিযোগও রয়েছে। গত ৯ মার্চ সেই ক্ষোভে আরিফুজ্জামানের উপর রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে আলাউদ্দিন। পরে আরিফুজ্জামান টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ১২ মার্চ মো. আরিফুজ্জামান বাদি হয়ে পাসপোর্ট অফিসের কথিত দালাল আলাউদ্দিনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. মনির হোসেন তদন্ত করছেন। আলাউদ্দিন পলাতক রয়েছেন।

সম্প্রতি টাঙ্গাইল পৌরসভার এনায়েতপুর এলাকার আল আমিন নামে এক যুবক অনলাইনে আবেদন করে ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দেন। পরে আবেদন ফাইল পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়ার জন্য ভোর সাড়ে ৫টায় লাইনে দাঁড়ান। সকাল সোয়া ১০টায় তার সিরিয়াল আসলে আবেদন ফাইলে দালালের চিহ্ন না থাকায় তাকে বের করে দেওয়া হয়।

আল আমিন বলেন, দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করতে গেলে অফিসের কর্মচারীরা আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে স্থানীয় এক বড় ভাইকে নিয়ে গেলে আমার পার্সপোর্ট করে দেন কর্মচারীরা। এক কথায় টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসে দালাল ছাড়া বই করা খুব কষ্টকর।

সদর উপজেলার মগড়া গ্রামের আবু হানিফ বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় পাসপোর্ট অফিসের লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। দালাল না ধরার কারণে দুপুর দুই টার পর লাইন থেকে আমাকে বের করে দেয়া হয়েছে।

পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষারীক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, আমি ছুটিতে অফিসের বাইরে আছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলব।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মাসুম হাসানের কাছে মুঠোফোনে বক্তব্য চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. মনির হোসেন বলেন, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। আসামি পলাতাক রয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।