ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দাম বাড়ায় মুরগির চাহিদা কমেছে প্রান্তিক বাজারে

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
দাম বাড়ায় মুরগির চাহিদা কমেছে প্রান্তিক বাজারে

মাদারীপুর: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীন ঘোড়ার মতো ছুটছেই। ভোক্তাদের হিসাব মতে, গত ৬ মাসে যে সব পণ্যের দাম বেড়েছে, তার কোনটাই কমেনি।

বরং কিছু কিছু পণ্যের মূল্য বার বার বেড়েছে।  

জেলার শিবচরের সূর্যনগর বাজারে আসা মো.সোবাহান মিয়া নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, দেশি মাছের দাম সব সময়ই বেশি। বাজারে অন্যান্য মাছের দাম যেদিন বেশি থাকে সেদিন ব্রয়লার মুরগি কিনতাম। তাতে করে মাংসের চাহিদাও মিটতো। এছাড়া মাংস খেতে ইচ্ছে করলেই মুরগি নিয়ে আসতাম। ঘরের বাচ্চারাও পছন্দ করতো। সেই মুরগির দাম এখন ২৫০ টাকা কেজি! বাচ্চারা মাংস খেতে চায় কিন্তু এই দামে মুরগি কেনার সাধ্য নাই আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের!

তাজুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তি বলেন,দাম বেশির গরুর মাংস সহজে কেনা হয় না। মাঝেমধ্যেই মুরগি কেনা হতো। এখন যে পরিস্থিতি তাতে মুরগি কেনাও দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। গরিবের মাংসের চাহিদা মিটতো ব্রয়লার মুরগিতে। তাও ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে।

এদিকে ব্রয়লারসহ সব মুরগির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার গ্রাম পর্যায়ের হাট-বাজারে বিক্রি কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা।  

বিক্রেতারা বলেন, দাম বাড়ায় চাহিদা অনেক কমে গেছে। আগে দোকান ভর্তি মুরগি থাকতো। প্রতিদিন প্রচুর মুরগি বিক্রি হতো। এখন তেমন বিক্রি হয় না। ক্রেতা কম থাকায় দোকানগুলোতে মুরগির সরবরাহও কম এখন।

সরেজমিনে শনিবার (১১ মার্চ) সকালে জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ পল্ট্রি দোকানে মুরগির সংখ্যা কম। বিক্রিও কম হচ্ছে। অনেককে দাম শুনেই চলে যেতে দেখা গেছে। অধিক প্রয়োজন ছাড়া ব্রয়লার মুরগি এড়িয়ে যাচ্ছেন সাধারণ ভোক্তারা।  

শনিবার গ্রামের বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ এবং লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা করে। এছাড়া দেশি মুরগির দাম আকার ভেদে ৪ থেকে ৫ শত টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।  

মুরগীর পাশাপাশি গরুর মাংস, মাছ এবং সবজির বাজারেও দাম বৃদ্ধি রয়েছে। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করছেন ভোক্তারা। ক্রমাগত দাম বেড়ে যাওয়ায় জীবনযাত্রার মান ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে পরবে বলে সাধারণ মানুষেরা জানান।

এদিকে বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি না করতে ব্যবসায়ীদের সতর্কও করা হচ্ছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাদারীপুরের নির্বাহী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস জানান, ভোক্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলার বিভিন্ন স্থানের বাজারে অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। এছাড়াও অতিরিক্ত দামে বিক্রেতারা যেন পণ্য বিক্রি না করে সেজন্য তাদের সতর্ক করা হচ্ছে। শাস্তি হিসেবে জরিমানাও করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ১১,২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।