ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঈশ্বরদীতে দুই বাংলার কবি সাহিত্যিকদের মিলন মেলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৩
ঈশ্বরদীতে দুই বাংলার কবি সাহিত্যিকদের মিলন মেলা

পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর গড়গড়ি গ্রামে তিন দিনব্যাপী চলছে ‘চরনিকেতন সাহিত্য উৎসব'। দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে চরনিকেতন কাব্যমঞ্চ।

শুক্রবার (০৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয় এ উৎসব শুরু হয়। এর আগে সকাল ১০টায় কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।

ভারতের কলকাতা থেকে ৩০ জনসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় দুই শতাধিক কবি সাহিত্যকদের মিলন মেলায় ও প্রাণবন্ত আড্ডায় সম্মেলন স্থলে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওসাকার নির্বাহী পরিচালক ও উৎসব কমিটির আহবায়ক কবি মজিদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান কবি শ্যাম সুন্দর শিকদার ।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গ্রাম-বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাহিত্য উৎসব আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছে। এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে এখান থেকে কবিরা উৎসাহ পাবেন। দেশে কবি সাহিত্যিকদের সৃষ্টি হবে। কবিদের মধ্যে সাহিত্য নিয়ে নতুন ভাবনা উদয় হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিটিআরসির চেয়ারম্যান কবি শ্যামসুন্দর সিকদার। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শিবজিত কুমার নাগ, নীলাঞ্জন শাল্ডিল্য, অধীর কৃষ্ণমণ্ডল, দেবাঞ্জন চক্রবর্তী, চিত্রা লাহিড়ি, দীপক লাহিড়ি, সৈয়দ কওসর জামাল, ওসাকার পরিচালক সঙ্গীত শিল্পী মাজহার বিশ্বাস, আসলাম সানি, ফরিদ আহমেদ দুলাল, মাহমুদ কামাল, জাকির তালুকদার, পারভেজ হোসেন, ড. কবি কুদরত-ই হুদা, ড. জিএম মনিরুজ্জামান। সেখানে শিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শাহাদাৎ হোসেন নিপু, নাজমুল আহসান, মাসুম আজিজুল বাশার, মধুসূদন মিহির চক্রবর্তী প্রমুখ।

তিন দিনব্যাপী বাংলা সাহিত্য উৎসবে নানা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কবিতা পাঠ, বিষয়ভিত্তিক সেমিনারসহ নানা ধরনের ব্যতিক্রমী আয়োজন রয়েছে। এছাড়া সমাপনী দিনে সম্মাননা পুরস্কার, দেশ বিদেশের কবি-লেখক আলোচক সংগীত শিল্পীরা নানা আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনকে ঘিরে কবি ও সাহিত্যিকদের বই আর বিভিন্ন প্রদর্শনীর বিভিন্ন স্টল বসেছে। আর বাহারি সব গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার অয়োজন রাখা হয়েছে সেখানে।

সাহিত্য উৎসবের আহবায়ক কবি, গবেষক ও চরনিকেতন কাব্যমঞ্চের পরিচালক মজিদ মাহমুদ বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আমি বাংলা সাহিত্যকদের গুরুত্ব তুলে ধরছি। সাহিত্যিক তৈরি করার কাজ করছি। শিশু-কিশোরদের সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করতে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলা সাহিত্য, বাঙালি সংস্কৃতি ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারা অনেক গর্বের ও আনন্দের। ধারাবাহিকভাবে এ কাজ করে যেতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।