ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি হলো দুই ভোল মাছ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি হলো দুই ভোল মাছ

বাগেরহাট: বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়া দুটি ভোল মাছ সাড়ে ১৮ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ৬৩ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের এ মাছ দুইটি মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন মাছের ক্রেতা ‘মেসার্স জয়মনি ফিস’ এর মালিক আল আমিন।

মাছ দুটি এক নজর দেখতে মোংলা মাছ বাজারের উৎসুক লোকজন ভিড় জমায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফারুক নামে এক জেলের জালে এই ভোল মাছ দুটি ধরা পরে। পরে শনিবার সকালে সুন্দরবনের দুবলার চরে ডাকে (উন্মুক্ত নিলামে) সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি হয় মাছ দুটি।

বিক্রি হওয়া মাছ দুটির মধ্যে বড় মাছটির ওজন ৩৬ কেজি ৫০০ গ্রাম অপেক্ষাকৃত ছোটটির ওজন ২৭ কেজি। বড়টি বিক্রি হয়েছে ১১ লাখ এবং ছোটটি বিক্রি হয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। প্রতি কেজি মাছের মূল্য পড়েছে ২৯ হাজার ১৩৩ টাকা।

মহা মূল্যবান মাছ পাওয়া জেলে ফারুক হোসেন বলেন, মৌসুম প্রায় শেষ, এতদিনে বড় মাছ না পাওয়ায় মনটা খারাপ ছিল। এই মাছ দুটো পাওয়ায় অনেক লাভ হয়েছে। বিক্রিও করেছি আশানুরূপ দামে।  

মেসার্স জয়মনি ফিস-এর মালিক আল আমিন বলেন, এই মাছগুলো আমরা চট্টগ্রাম চালান করি। এসব মাছ অনেক ঝুঁকি নিয়ে ক্রয় করতে হয়। লাভও হয় অনেক। আশাকরি বেশ লাভ হবে, এই দুই মাছে।

মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আফজাল ফরাজী বলেন, ভোল মাছটি এ অঞ্চলে খুবই কম পাওয়া যায়। মোংলা পশুর নদী বা সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে দুই-একটি এই মাছ পাওয়া যায়। মূলত এ মাছের ফুলকী-প্যাটা ও বালিশের কারণে দাম প্রচুর। এই মাছের প্যাটা ও বালিশ বিদেশে রপ্তানি হয় এবং এ দিয়ে নাকি মেডিসিন তৈরি করা হয় বলে জানায় সমিতির এ নেতা।  

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১০ বছরেও বিরল প্রজাতির দাতিনা ভোল মাছ মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আসেনি। তবে দুবলার চর থেকে কেনা এ মাছ দুটি চট্টগ্রামে আরও বেশি দামে বিক্রি হবে বলে জানান ব্যবসায়ী।

জাবা ভোল বা সোনা ভোলের বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস’। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় এই মাছের চাহিদা খুব বেশি।  এই মাছের ঔষধি গুণ থাকাতেই এর দাম এত বেশি।  মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ওষুধ উৎপাদন সংস্থাগুলি এই মাছ কিনে নেয়। তারপর এর দেহের প্রায় প্রতিটি অংশ দিয়েই তৈরি হয় ওষুধ। এই মাছের বায়ু পটকা দিয়ে কিডনির নানা রোগ নিরাময়ের ওষুধ তৈরি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।