ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উপ-নির্বাচনে সবসময় ভোটার উপস্থিতি কম থাকে: তথ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
উপ-নির্বাচনে সবসময় ভোটার উপস্থিতি কম থাকে: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: দেশের ছয়টি আসনে উপ-নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু সুন্দর হয়েছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, উপ-নির্বাচনে সবসময় ভোটার উপস্থিতি কম থাকে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তথ্য অধিদপ্তর, পিআইডি সম্মেলন কক্ষে পিআইডি প্রকাশিত ‘উন্নয়নের নব দিগন্ত’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। উপ-নির্বাচনে সবসময় ভোটার উপস্থিতি কম থাকে। আর যেখানে জাতীয় নির্বাচন এক বছরের কম সময়ের মধ্যে হবে, অল্প সময়ের জন্য যেহেতু তারা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন, এখানে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। ভোটার উপস্থিতি কিছু কম থাকলেও অত্যন্ত সুষ্ঠু সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে বিএনপির আন্দোলনের তোর জোড় দেখা গেলেও এখন সে রকম তোরজোড় দেখা যাচ্ছে না সে বিষয়টি কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ডিসেম্বর মাসে তো বলেছিল সরকারকে বিদায় দেবে, সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে। ডিসেম্বরে সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে তারা নিজেরা (বিএনপি) পড়ে গেছে। এরপর থেকে তারা হাঁটা শুরু করেছে। বিএনপি অনুধাবন করতে পেড়েছে সরকারকে ধাক্কা মারলে লাভ হয় না। সরকার ও আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রথিত। সুতরাং সরকারকে ধাক্কা মারতে গিয়ে তাদের (বিএনপি) কোমর ভেঙ্গে গেছে। সেটা তাদের বর্তমান কর্মসূচির মাধ্যমেই পরিস্ফুটিত হয়েছে। আমি সব সময় আশা করবো বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে থাকবে, গণতন্ত্রের পথেই থাকবে।

তিনি বলেন, তবে তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাদের ষড়যন্ত্র সব সময় ছিল, এখনও আছে। তারা জানে যে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ২৯টি আসন পেয়েছিল। এরপর উপ-নির্বাচনে বেড়ে ৩০টি অতিক্রম করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছে, ২০১৮ সালে নির্বাচনে ছয়টি আসন পেয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও যে তাদের সম্ভাবনা নেই সেটি তারা জানে। সেটি জানে বলেই নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করার জন্য নানা ধরণের কথা বলে।

গতকাল ছয়টি আসনে উপ-নির্বাচন হয়েছে সেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেখা গেছে, বিএনপির প্রার্থীর কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ মাঠে নেমেছে। পাশাপাশি বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, মাগুরার নির্বাচনকেও হাড় মানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচন; এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না। যেহেতু আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই, আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকেরা যে কাউকে পছন্দ করতে পারেন। সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমাদের দলের কোনো নির্দেশনা কারও জন্য নামার জন্য ছিল না। যে যার পছন্দ মতো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। আমরা মাত্র তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম। প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে সে তিনটি আসনে আমাদের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।  

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে, এটি অত্যন্ত ভালো নির্বাচন হয়েছে। আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার উপস্থিতির কথা ভাবেন সেখানে ৪০ শতাংশ মানুষ ভোটার হন না। আবার যারা ভোটার হন সেখান থেকে অর্ধেক উপস্থিত হন। সার্বিক বিচারে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে সেখানে। সে হিসেবে আমাদের উপ-নির্বাচন যেটি এক বছরের কম সময়ের জন্য এমপি নির্বাচিত হবেন, সেখানে অনেক ভালো হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো: শাহেনুর মিয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মনিটরিং মুন্সি জালাল উদ্দীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
জিসিজি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।