ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বঙ্গবন্ধুর ছবির কপিরাইট কেউ দাবি করতে পারবে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
বঙ্গবন্ধুর ছবির কপিরাইট কেউ দাবি করতে পারবে না

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং স্বাধীনতার যুদ্ধকালীন ছবির কপিরাইট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দাবি করতে পারবে না। এগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক ও রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। বিবাদী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মো.মঞ্জুরুল হক।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বঙ্গবন্ধুর নামে প্রকাশিত দু’টি বইয়ে অবৈধভাবে গ্রন্থস্বত্ব এবং মেধাস্বত্বের অধিকার ব্যবহারের চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট এ রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এ বিষয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে।

পরে হাইকোর্ট রুল জারি করে তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট মঙ্গলবার রায় দেন।

আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা দু’টি বইয়ের কপিরাইট নিয়ে মামলা করেছিল। আদালত বলেছেন, এ পর‌্যন্ত এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো আইন বা বিধান ছিল না। বঙ্গবন্ধুর ছবি এবং মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত ছবি এছাড়া স্বাধীনতার ঐতিহাসিক যে ছবিগুলা থাকবে, সেই ছবিগুলো কিভাবে ব্যবহার হবে। শুধুমাত্র এই দু’টি বই না, আরও বিভিন্ন বইয়ে এই ছবিগুলো ব্যবহার হয়েছে এবং বইয়ে কপিরাইট যারা পাবলিশ করেছে তাদের নামে হয়েছে। ছবিগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর এবং মুক্তিযুদ্ধ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে। সেই ছবিগুলোর কপিরাইট আমরা দাবি করবো না। কিন্তু বইয়ের যে কপিরাইট আমাদের থাকবে এটা আদালতের পর্যবেক্ষণ।

তিনি আরও বলেন, আজকে একটি ঐতিহাসিক বিষয়, যেটা হয়েছে সেটা হলো, বঙ্গবন্ধুর পিকটোরিয়াল ও ইমেজেস এবং স্বাধীনতার যুদ্ধকালিন ছবি এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ছবি দিয়ে যতগুলো বই প্রকাশ হবে, তার কপিরাইট রাষ্ট্রের থাকবে, এটা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দাবি করতে পারবে না।

শাহ মঞ্জুরুল হক আরও বলেন, আদালত বলে দিয়েছেন, যেহেতু মুজিববর্ষ উপলক্ষে বইগুলো ছাপানো হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যেন বইয়ের কার‌্যক্রম মন্ত্রণালয় শেষ করে। এর পরবর্তী যে বইগুলো প্রকাশ হবে, ওই বইয়ের মধ্যে যেন একটি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ থাকে। যেখান থেকে ছবিগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।

আইনজীবী অনিক আর হক বলেন, তারা যে বইগুলা এরই মধ্যে প্রকাশ করেছেন, সেগুলা তারা আবার সংগ্রহ করে প্রত্যেকটাতে এই কথা লিখে দেবেন। এই বইগুলাতে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলার স্বত্ব প্রকাশকের নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
ইএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।