ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মনিরামপুরের সাবেক ওসি ছয়রুদ্দিনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
মনিরামপুরের সাবেক ওসি ছয়রুদ্দিনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

ঢাকা: যশোরের মনিরামপুর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছয়রুদ্দিন আহমেদকে দুর্নীতির মামলা থেকে দেওয়া অব্যাহতির আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তার অব্যাহতির আদেশ বাতিল চেয়ে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন একেএম ফারহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

গত বছরের ৩ জুলাই যশোর স্পেশাল জজ (জেলা জজ) তাকে চার্জ শুনানির সময় মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। সেই অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে গত ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন মামলা দায়ের করে দুদক।

ঘটনার বিবরণী উল্লেখ করে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, যশোরের মনিরামপুর থানার নেহালপুর মৌজায় জনৈক প্রভাষ চন্দ্র ঘোষ ধান চাষ করেন। সেই জমিতে বিরোধ দেখা দিলে মো. ছয়রুদ্দিন আহমেদের হুকুমে প্রভাষ চন্দ্র ঘোষের ৫ একর জমির মধ্য থেকে ৫ বিঘা জমির ৬১ মণ পাঁচ কেজি ধান কেটে নিয়ে নেহালপুর বাজারে হাটচান্দিতে মাড়াই করে গোডাউন ভাড়া করে রাখেন।

পরে ওই ধান আদালতের কোনো অনুমতি না নিয়ে কোনো ধরনের নিলাম না ডেকে নিজের ইচ্ছেমত ৪১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন। প্রভাষ চন্দ্রের অভিযোগ ওই ধান ও পরে টাকা ফেরত চাইলে ছয়রুদ্দিন ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। বাদী নিরুপায় হয়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দেন। পরে ছয়রুদ্দিন প্রভাষকে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা দেন।

এ ঘটনায় প্রভাষ চন্দ্র ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গাজী তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।