ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কটিয়াদীর ফটিক হত্যার সব আসামি খালাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
কটিয়াদীর ফটিক হত্যার সব আসামি খালাস

ঢাকা: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর চানপুর গ্রামের ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিক হত্যা ‍মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামিদের আপিল গ্রহণ করে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, ডাকাতদের ধরিয়ে দেওয়ার কারণে আসামিরা সম্মিলিতভাবে ঈদের আগের দিন ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিককে হত্যা করে। এ হত্যা মলায় কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত শরীফকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বাকি ৫ জনকে যাবজ্জীবন দিয়েছিলেন।  

‘পরে এ মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এছাড়া আসামিরা আপিল করেন। পরে শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে আদালত ডেথ রেফারেন্স রিজেক্ট করে আসামিদের আপিল অ্যালাউ করেছেন। ফলে শরীফের আর মৃত্যুদণ্ড হবে না। তিনি বেকসুর খালাস পাবেন। যারা যাবজ্জীবন দণ্ড পেয়েছিলেন তারাও খালাস পাবেন। সব আসামি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। ’

খালাসের বিষয়ে ড. মো. বশির উল্লাহ জানান, প্রসিকিউশন বা বাদীপক্ষ এ মামলাটিতে সঠিকভাবে সাক্ষী দিতে পারেনি। আমামিদের একজন আলমগীর, তিনি আদালতে বক্তব্য দিয়েছিলেন সেটা এক্সকালপেটরি ইন নেচার (তিনি নিজেকে না জড়িয়ে বক্তব্য দেন)। তা আদালতে গ্রহণযোগ্য না।

তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার চানপুর গ্রামে ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিককে বিগত ২০০৮ সালের ১ অক্টোবর রাতে অপহরণ করা হয়।  

অনেক খোঁজাখুজির পর ৮ অক্টোবর চানপুর এলাকার ফাইন ফুড ফিশারি থেকে তার মস্তকবিহীন মরদেহ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় ফটিকের ভাই মইন উদ্দিন কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে পুলিশ মামলার আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
 
এরপর ২০১৪ সালের ২৯ জুন বিচারিক আদালত এ মামলায় রায় দেন। রায়ে আসামি শরীফকে মৃত্যুদণ্ড এবং জামিল, সোলেমান, নূর মোহাম্মদ, সাদেক এবং আলমগীরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আসামিদের মধ্যে নূর মোহাম্মদ ও আলমগীর পলাতক।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।