ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জমি ও স্থাপনার অর্থ পাচ্ছেন মুন সিনেমার মালিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৮
জমি ও স্থাপনার অর্থ পাচ্ছেন মুন সিনেমার মালিক

ঢাকা: পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাট এলাকার মুন সিনেমা হলের মালিককে সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় শত কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে বলে আপিল বিভাগকে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। 

অর্থ পরিশোধ সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি (অর্থ পরিশোধের প্রস্তাব) উপস্থাপন করে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তিন মাস সময় চাইলে সোমবার (৮ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ দুই মাস সময় দেন। একইসঙ্গে মামলাটি ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।

 
 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক। মুন সিনেমা হলের মালিকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি ।
 
ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল আলম ছিলেন মুন সিনেমা হলের মালিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্পত্তিটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে মালিকানা দাবি করে মাকসুদুল আলম আদালতের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টে রায় পক্ষে যাওয়ার পর আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে তা বহাল রাখেন। একইসঙ্গে ৯০ দিনের মধ্যে মুন সিনেমা হল বাংলাদেশ ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডকে ফেরত দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।
 
পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে ওয়াইজঘাট এলাকার এলাকার মুন সিনেমা হল মূল মালিককে ফেরতের নির্দেশ দেন। কিন্তু ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুন সিনেমা হলের মালিক মাকসুদুল আলম তার জমি না পেয়ে ২০১২ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
 
পরে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, মুন সিনেমা হল আগের অবস্থায় ফেরত দেওয়ার কোনো উপায় নেই। এখন মুন সিনেমা হলের জমির মূল্য ও মুন সিনেমা হলের মূল স্ট্রাকচারের (কাঠামো) মূল্য ধরে এর মালিক ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। এরপর ২০১৭ সালে আদালত মুন সিনেমা হলের জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ দেন।
 
সে অনুসারে মূল্য নির্ধারণ করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।  আদালত তিন কিস্তিতে এ টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
 
সোমবার রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে সংশোধিত বাজেট থেকে ওই অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে।
 
অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, মুন সিনেমা হল ও এর সম্পত্তির মূল্য বাবদ ৯৯ কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৪ টাকা ২৭ পয়সা পরিশোধের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অনুকূলে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
ইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।