ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দেশের যেকোনো স্থানে বসতে পারে আদালত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
দেশের যেকোনো স্থানে বসতে পারে আদালত সেমিনার

টাঙ্গাইল: দেশে যতগুলো পরিপূর্ণ ও ভালো আইন প্রণয়ন হয়েছে তার মধ্যে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ সেরা আইনগুলোর অন্যতম। এ আইনটি একটি স্বয়ংসম্পন্ন আইন। আদালত চাইলে দেশের যেকোনো স্থানে বসতে পারে। এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় হবেনা।

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলা শাখার আয়োজনে ‘মানবপাচার প্রতিরোধে বিচার প্রপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব মতামত ব্যক্ত করেন।  

বক্তারা বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধে আদালত, তদন্তকারী সংস্থা ও ক্ষতিগ্রস্তদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

সব পক্ষ সচেতন হলে মামলার জট থাকবেনা।  এছাড়া সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বক্তারা আরও বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় এ সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। অথচ দীর্ঘ দিনেও টাঙ্গাইলে মানবপাচার প্রতিরোধে কোনো ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়নি। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই মানবপাচার সংক্রান্ত মামলাগুলো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা হচ্ছে, বাড়ছে মামলার জট।   

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল ও ইউএসএআইডি’র সহযোগিতায় আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জেলা শাখার সভাপতি ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন- টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া।  

বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক জেলা ও দায়রা জজ তারিক হায়দার, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসেন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আহাদুজ্জামান মিয়া, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ।  

মূল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন- জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ।

সেমিনারে জানানো হয়, ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের এ পর্যন্ত মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা হয়েছে ৪১টি। এরমধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে মামলার নিস্পত্তি হয়েছে ১২টি। ২৩টি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন আছে এবং ৬টি মামলা রয়েছে তদন্তাধীন।  

অপরদিকে, জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মোট মামলার সংখ্যা দুই হাজার ৮১৫টি। এরমধ্যে নারী ও শিশু পিটিশন মামলা ৩৫২টি এবং মানবপাচার সংক্রান্ত ২৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।  

সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, টাঙ্গাইলে পতিতালয়ের কারণে বেশি মানবপাচারের ঘটনা ঘটে। অথচ মামলা দায়ের হয় খুবই কম। এর কারণও অনুসন্ধান করা দরকার।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুস সোবহান, টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন, টাঙ্গাইল অ্যাডভোকেট বার সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।