ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জয়পুরহাটে কৃষক হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৪
জয়পুরহাটে কৃষক হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন 

জয়পুরহাট: জয়পুরহাট সদর উপজেলার দস্তপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে কৃষক বুলু মিয়া (৪০) হত্যা মামলায় মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আসামিদের উপস্থিতিতে বুধবার (১৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার দস্তপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া, গণিরাজের ছেলে এমরান আলী নুহ ও আউশগাড়ার মোকছেদ আলীর ছেলে বাবু মিয়া।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘটনার প্রায় ২০ বছর আগে জয়পুরহাট সদর উপজেলার দাদড়া গ্রামের বুলু মিয়া (৪০) একই উপজেলার দস্তপুর গ্রামের তাহেরা বেগমকে বিয়ে করে সেখানেই ঘরজামাই হিসেবে বসবাস শুরু করেন। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বুলু মিয়া একটি বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পরদিন ৪ এপ্রিল সকালে দস্তপুর গ্রামের আমজাদ রাজের বাড়ির কাছে আমজাদের বায়োগ্যাস তৈরির ট্যাংকে রক্তের দাগ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্যাংকে বুলুর গলা কাটা মরদেহ দেখতে পায়।  

ওই ঘটনায় নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০০৫ সালের ৪ এপ্রিল তিনজনের নাম উল্লেখ করে জয়পুরহাট সদর থানার মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন ২০০৫ সালের ৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।  

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও এপিপি উদয় সিংহ। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নন্দকিশোর আগরওয়ালা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।