ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আট বছরেও শুরু হয়নি ব্লগার নাজিম হত্যার বিচার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৪
আট বছরেও শুরু হয়নি ব্লগার নাজিম হত্যার বিচার  ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ

ঢাকা:পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যাকাণ্ড ঘটে দীর্ঘ আট বছর আগে। সেই থেকে দীর্ঘ সময়েও মামলার বিচারই শুরু হয়নি।

 

রাষ্ট্রপক্ষ বলছেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে কারাগারে থাকা আসামিদের শুনানির দিন আদালতে হাজির না করায় মামলার বিচার শুরুতে হচ্ছে বিলম্ব।  

সবশেষ গত ২৫ মার্চ ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে এই মামলার চার্জশুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিদের আদালতে হাজির না করায় আগামী ১৬ মে চার্জশুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।  

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জবির ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। ঘটনার পরদিন সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।  

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।

মামলার চার্জশিটভুক্ত ৯ আসামির মধ্যে ৫ জন পলাতক। তারা হলেন, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের। অপর চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে রয়েছেন।  

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, চাঞ্চল্যকর ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যা মামলাটি চার্জশুনানির পর্যায়ে রয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য না পাওয়ায় কয়েক দফায় তাদের আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তাই মামলায় চার্জশুনানি হচ্ছে না। আগামী ধার্য তারিখে আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে চার্জশুনানির জন্য আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিযোগ গঠন শুনানির বিষয়ে পদক্ষেপ নেবো। বিচার শুরু হলে দ্রুত সাক্ষ্য নিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তির চেষ্টা করবো।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২৪
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।