ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নুর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৪
হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নুর

ঢাকা: বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আদালত নিয়ে বক্তব্য দিতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

 

বুধবার (৬ মার্চ) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক–আল–জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে সম্পূরক হলফনামা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন নুর। আদালত শুনানির জন্য ৩০ এপ্রিল দিন রেখেছেন।

আদালতে নুরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও আইনজীবী কায়সার কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

পরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, তার বক্তব্যের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন নুরুল হক নুর। আদালত আজ (বুধবার) আবার তারিখ রেখেছিলেন। আজকে আবার হলফনামার মাধ্যমে নুরুল হক নুর নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যখন পাবলিকলি বক্তব্যে দেবেন, তখন আদালতের বিষয়ে কথা বলতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবেন। আদালত আমাদের সম্পূরক হলফনামা রেকর্ডে রেখেছেন। আগামী ৩০ এপ্রিল শুনানির জন্য দিন রেখেছেন। সেদিনও নুরুল হক নুরকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে।    

গত ৭ ডিসেম্বর অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ ও সমাবেশ করে গণ অধিকার পরিষদ। সেদিন দুপুর ১২টায় পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

ওই সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তার দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ৭ ডিসেম্বর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন নজরে আসার পর স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্ট ১৭ ডিসেম্বর রুল জারি করে নুরকে তলব করেন। সে অনুসারে ১৭ জানুয়ারি নুর হাইকোর্টে হাজির হন।

আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য নুরের আইনজীবী সময় চান। আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন। এরপর আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন। ওই দিন হাজির হয়ে ক্ষমা চান নুরুল হক নুর। এরপর আদালত ৬ মার্চ দিন ধার্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
ইএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।