ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নাটোরে হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
নাটোরে হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন  আসামি মাহফুজ নিশান

নাটোর: নাটোরে হেরোইন বহনের দায়ে মাহফুজ নিশান নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নাটোরের সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু এ আদেশ দেন। এসময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  

এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. ইবনে সিনা সৃজন নামে একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।  

দণ্ডপ্রাপ্ত মাহফুজ নিশান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার রহনপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী পান্নার ছেলে এবং খালাসপ্রাপ্ত ইবনে সিনা সৃজন একই জেলার সদর উপজেলার পুরাতন সিএনবি ঘাট এলাকার মো. আহসানুল কবিরের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি সকালে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধারের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৫)। এসময় একটি মোটরসাইকেলে তিন ব্যক্তিকে দ্রুতগতিতে আসতে দেখে মোটরসাইকেল থামানোর সংকেত দেয় র‌্যাব সদস্যরা।  এ অবস্থায় বিষয়টি বুঝতে পেয়ে তারা মোটরসাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে র‌্যাব সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে মাহফুজ নিশান ও ইবনে সিনা নামে দুইজনকে আটক করে। এসময় মাহফুজ নিসানের দেহ তল্লাশি করে ৩১০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গেলে তাদের আটক করা হয়।

পরে বড়াইগ্রাম থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ দুই বছর মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে মাহফুজ নিসানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এ সময় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ইবনে সিনা নামে অপর একজনকে খালাস দেন আদালত। পরে মাহফুজ নিসানকে কারাগারে পাঠানো হয়।

নাটোর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।