ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

১০ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করতে মির্জা ফখরুলের রিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
১০ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করতে মির্জা ফখরুলের রিট

ঢাকা: বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা ১০ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এ রিট করেছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের ওপর ‍শুনানি হতে পারে।

১০টির মধ্যে পল্টন থানার সাতটি এবং রমনা থানার তিনটি মামলার রয়েছে।

পরে মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সগীর হোসেন জানান, সিএমএম আদালতে ১০ মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত আবেদনগুলো গ্রহণ করেননি। এ কারণে জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট রিট করা হয়েছে।

১৩ ডিসেম্বর সিএমএম আদালতে মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বাংলানিউজকে বলেন, মির্জা ফখরুলের পক্ষে পল্টন থানার সাতটি ও রমনা থানার চারটিসহ মোট ১১টি মামলায় প্রডাকশন ওয়ারেন্টসহ (হাজিরা পরোয়ানা) জামিন আবেদন করি। একইভাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পক্ষে নয়টি ও দলটির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের পক্ষে সাতটি মামলায় জামিন আবেদন করি। এসব আবেদন বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ও শফি উদ্দিনের আদালতে শুনানির জন্য আসে। তবে তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করার আগে এসব মামলায় জামিন শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করে আবেদনগুলো নথিভুক্ত রাখেন আদালত।

আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ আরও বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি তারা বাইরে থাকলে উচ্চ আদালত বা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করার সুযোগ ছিল। এখন কারাগারে থাকায় তাদের সেই সুযোগ থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? আমরা আশঙ্কা করছি, একটি মামলায় জামিন হলে অপর মামলাগুলোতে ধাপে ধাপে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাবাসকে প্রলম্বিত করতে পুলিশ এই কৌশল নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিকারের জন্য আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওইদিনই প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় রাত ৮টার দিকে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তার জামিন আবেদন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
ইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।