ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নাটোরে অক্টোবরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৯৫ মামলায় ৯২ জনকে কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
নাটোরে অক্টোবরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৯৫ মামলায় ৯২ জনকে কারাদণ্ড

নাটোর: নাটোর জেলায় গত অক্টোবর মাসে জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৮৫টি অভিযান পরিচালনা করে ১৯৫টি মামলার বিপরীতে ৯২জন অভিযুক্তকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তিন লাখ ১৯ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া একই সময়ে ১৯০টি চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযানে ৮৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৪০ টাকা মূল্যের পণ্য আটক করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বাল্যবিয়ে রোধে আটটি উঠান বৈঠক আয়োজন করা হয় এবং একটি বাল্যবিয়ে রোধ করা হয়।

রোববার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এতথ্য জানান, কমিটির সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফ হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা।

আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তব্য দেন- নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহাদুজ্জামান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. লুৎফর রহমান, নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন, প্রথম আলোর প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মুক্তার হোসেন প্রমুখ।

সভায় কিশোর গ্যাং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, অতর্কিত হামলা করে মানুষকে জখম করা, সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার, শিক্ষার্থীদের মারামারি, নাটোর সদর হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পরিস্থিতি, সড়ক ও ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করার বিষয়ে বক্তারা বক্তব্য দেন। বক্তারা সদ্য সমাপ্ত দুর্গা পূজা সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটি, মোবাইল কোর্ট সক্রিয় আছে। জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিজিবি কাজ করছে। সার্বিকভাবে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বিদ্যালয়গুলোতে সমাবেশ আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

পরে আসন্ন মহান বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞার সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। কর্মসূচিতে উল্লেখ করা হয়, ১৬ ডিসেম্বর ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হবে।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে এবং সব সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৮টায় শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হবে।

বেলা ১১টায় অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ফুল ও শুভেচ্ছা উপহারসহ সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ। বিকেলে শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। শিশু সদনের শিক্ষার্থীরা বিনা টিকিটে উত্তরা গণভবনসহ জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবে।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার  মাগফেরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে। জেলা কারাগার, হাসপাতাল, শিশু সদন ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং সরকারি গণগ্রন্থাগার শিশুদের জন্যে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।