ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গ্যাটকো মামলায় খালেদা জিয়ার অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি ২৩ নভেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
গ্যাটকো মামলায় খালেদা জিয়ার অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি ২৩ নভেম্বর ফাইল ফটো

ঢাকা: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে ডিসচার্জ (অব্যাহতি) আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।  

সোমবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসেনের আদালতে এ মামলার চার্জশুনানির দিন ধার্য ছিল।

 

এদিন বিদেশে চিকিৎসারত মামলার অপর আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ ডিসচার্জের আবেদন শুনানি শেষ করেন৷ এর মাধ্যমে খালেদা জিয়া ব্যতীত বাকি সব আসামির চার্জশুনানি শেষ হয়েছে। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষে চার্জশুনানির জন্য আদালত আগামী ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

এ মামলার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২২ সালের ১৭ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে চার্জশুনানি শেষ হয়। ওইদিন দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল। এরপর ২৪ জুলাই মামলার তিন আসামি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ ও বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেনের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অব্যাহতির আবেদনের বিষয়ে শুনানি করেন।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।  

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানিকে (গ্যাটকো) পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।  

চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে আটজন মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, এম কে আনোয়ার, এম শামছুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম, বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সাবেকমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।  

দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি খালেদা জিয়া। প‌রে সেখা‌নে অসুস্থতা বে‌ড়ে যাওয়ায় তা‌কে চি‌কিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়। করোনা মহামারি শুরুর পর সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে তিনি এখন গুলশানের নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
কেআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।