ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিনামূল্যে শ্রমিকের সাড়ে ৬ কোটি টাকা আদায়  

ইলিয়াস সরকার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৯ ঘণ্টা, মে ১, ২০২৩
বিনামূল্যে শ্রমিকের সাড়ে ৬ কোটি টাকা আদায়
 

ঢাকা: শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে বিনা পয়সায় ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১২ হাজার ৫৬২ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিয়েছে সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা।
 
সংস্থাটির ঢাকা ও চট্টগ্রামের শ্রমিক সেল থেকে এ সেবা পেয়েছেন শ্রমিকরা।


 
বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে সংস্থাটি।
 
দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ২০১৩ ঢাকার শ্রম আদালতে এবং ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম শ্রম আদালতে শ্রমিক আইন সহায়তা সেল স্থাপন করে।
 
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত আইনি পরামর্শ পেয়েছেন ২০ হাজার ১৫৫ জন।  এর  মধ্যে ৪ হাজার ১৯৩ জন নারী ও ১৫ হাজার ৯৬২ জন পুরুষ শ্রমিক রয়েছেন। আর এ দুই সেল থেকে আইনি সহায়তাপ্রাপ্ত উপকারভোগীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৭৩৮।  
  
দরিদ্র ও অসহায় বিচার প্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা দিতে সরকার ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করে।
 
এ আইনের আওতায় সরকার ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা করে এবং দরিদ্র অসহায় মানুষের আইনের আশ্রয় ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে এ সংস্থার অধীনে প্রত্যেক জেলায় জেলা ও দায়রা জজকে চেয়ারম্যান করে একটি করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়।
 
এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করে।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টেও একটি কমিটি রয়েছে। যার চেয়ারম্যান হচ্ছেন হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি।
 
সরকারি আইনি সেবা প্রাপ্তির যোগ্যতা
অসচ্ছল বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তি, যার বার্ষিক গড় আয় সুপ্রিম কোর্টে আইনগত সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেড় লাখ এবং অন্যান্য আদালতের ক্ষেত্রে এক লাখ টাকার ঊর্ধ্বে নয়।
 
মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকার ঊর্ধ্বে নয় এবং যে কোনো শ্রমিক, যার বার্ষিক গড় আয় এক লাখ টাকার ঊর্ধ্বে নয়। যে কোনো শিশু, মানব পাচারের শিকার যে কোনো ব্যক্তি, শারীরিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন এবং যৌন নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু, নিরাশ্রয় ব্যক্তি বা ভবঘুরে, যে কোনো উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের লোক। পারিবারিক সহিংসতার শিকার অথবা সহিংসতার ঝুঁকিতে আছেন, এমন যে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি, বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন এমন ব্যক্তি, ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থ মাতা, দুর্বৃত্ত দ্বারা এসিড দগ্ধ নারী বা শিশু।
 
আদর্শগ্রামে গৃহ বা ভূমি বরাদ্দ প্রাপ্ত ব্যক্তি, অসচ্ছল বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা এবং দুস্থ মহিলা, যে কোনো প্রতিবন্ধী, বিনা বিচারে আটক অসচ্ছল ব্যক্তি, আদালত কর্তৃক আর্থিকভাবে অসহায় বা অসচ্ছল বলে বিবেচিত ব্যক্তি, জেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিবেচিত বা সুপারিশকৃত অসহায় বা অসচ্ছল ব্যক্তি এবং এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণে সংস্থা কর্তৃক চিহ্নিত ব্যক্তি এ সহায়তা পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৬ ঘণ্টা,  মে ০১, ২০২৩
ইএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।