ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফের সাক্ষ্য গ্রহণ হলো না কিবরিয়া-সুরঞ্জিত মামলার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
ফের সাক্ষ্য গ্রহণ হলো না কিবরিয়া-সুরঞ্জিত মামলার 

সিলেট: ফের সাক্ষ্য গ্রহণ হলো না সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত কিবরিয়া হত্যা মামলার। একই দিনে সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত সুরঞ্জিত সে হত্যা চেষ্টা মামলারও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল।

  

মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ দুই মামলায় আসামিরা কয়েকজন হাজির হলেও সাক্ষীরা উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

এদিন আদালতে হাজিরা দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের মেয়র ও জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জি কে গৌছসহ ৯ আসামি। তবে ৫ জন আসামি আদালতে হাজির হতে না পেরে সময় চেয়ে দরখাস্ত দেন।

আদালতের পিপি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের পৌর মেয়র জিকে গৌছসহ ৯ আসামি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উচ্চ আাদালতের নির্দেশে সাবেক স্বারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে উপস্থিত না করার নির্দেশনা রয়েছে। আর ৫ জন সময় প্রার্থনা করে দরখাস্ত দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ১৫ জানুয়ারি ধার্য্য করা হয়েছে।

২০০৫ সালর ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ ৫ জন।  

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা তিন দফায় তদন্ত করে সিআইডি। ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ প্রথম দফায় শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেন বাদী মজিদ খান। ২০০৭ সালে মামলাটি পুনঃ তদন্তের জন্য আবারো সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।  

এরপর ২০১১ সালের ২০ জুন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নানসহ ২৪ জনকে আসামি করে অধিকতর তদন্তের অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই বছরের ২৮ জুন শাহ এএমএস কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া এই অভিযোগপত্রের ওপরও না-রাজি আবেদন করেন।

সবশেষ ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর সিআইডি সিলেট রেঞ্জের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে গত ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।  

মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, মোহাম্মদ আলী, বদরুল ওরফে মো. বদরুল, আলহাজ্ব মাওলানা তাজ উদ্দিন, মো. মুহিবুর রহমান।  

আসামিদের মধ্যে কারাগারে আছেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মিজানুর রহমান মিটু, হাফেজ সৈয়দ নাঈম আহমদ আরিফ প্রকাশ নিমু, বদরুল আলম মিজান, মাওলানা শেখ ফরিদ আহমদ, আব্দুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, মুহিবুল্লাহ ওরফে মুজিবুর রহমান প্রকাশ অভি, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম।

এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গৌছসহ ১২ জন জামিনে রয়েছেন।  

২০০৪ সালের ২১ জুন দিরাই বাজারে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। সমাবেশে তখন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ওই বোমা হামলায় এক যুবলীগকর্মী নিহত ও ২৯ জন আহত হন। ওই ঘটনায় এসআই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন।

 এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগ গঠন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
এনইউ/এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।