ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয় পার্টি

সাতক্ষীরায় ২ প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
সাতক্ষীরায় ২ প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩০

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা-১ ও সাতক্ষীরা-৪ আসনে দুই প্রার্থীর ওপর সহিংস হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সময় ওই দুই আসনে ছড়িয়ে পড়েছে নির্বাচনী সহিংসতা। এসব ঘটনায় তালায় ১০ জন এবং শ্যামনগরে ২০ জনসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

এছাড়া ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর, একটি নির্বাচনী অফিস ও একজন চেয়ারম্যানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা যায়।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাতক্ষীরা-১ আসনের (তালা-কলারোয়া) জাতীয় পার্টির প্রার্থী কেন্দ্রীয় জাপা সৈয়দ দীদার বখত সংবাদ সম্মেলন করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘কলারোয়ায় গণসংযোগ শেষ করে বিকেলে যখন ফিরে যাচ্ছিলেন তখন নগরঘাটা ৩০ মাইল এলাকায় তার গাড়ি বহরে হামলা চালায় নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জজামান লিপু ও তার সহযোগীরা। তার বহরের গতিরোধ করে তারা তার দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করে। তাদের হামলা থেকে তিনি নিজে রক্ষা পেলেও রক্ষা পাননি দলীয় নেতা কাজী আসাদ, আবদুস সোবহান, উপজেলা জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি এসএম মো. আলাউদ্দিন, শেখ মিরাজ, শেখ জাহাঙ্গির, বিশ্বনাথ, শরিফুল ইসলাম, ইকবাল হোসেনসহ আরও কয়েকজন। ’ 

তিনি আরও বলেন, ‘তার আসনের মহাজোটের প্রার্থীর সমর্থকরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তালা ও কলারোয়া এলাকায় দিন রাত মহড়া দিচ্ছে। এর ফলে তিনি মুক্তমনে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারছেন না। তার দলের কোনো কর্মীও কাজ করতে পারছেন না। তার নির্বাচনী প্রচার অফিস ভাঙচুর করা হচ্ছে। হামলাকারীরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে বলেছে ভোটের সাধ মিটিয়ে দেবো। আর যেনো কোনোদিন এখানে না দেখি। মারমুখী লোকজন তাকে ও তার রাজনৈতিক সঙ্গীদের গালিগালাজ করছে। ’ 

এসব বিষয় তিনি জেলা রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন। তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে তাকে আশ্বস্ত করেছেন বলেও জানান দীদার বখত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, সহ-সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক নুরুল হুদা কালু, তালা উপজেলা জাপার সেক্রেটারি এসএম আলাউদ্দিন, জেলা ছাত্র সমাজ সভাপতি কায়সারুজ্জামান হিমেল, সম্পাদক আকরামুল ইসলাম, যুব সংহতির সাবেক সভাপতি সাখায়াতুল করিম বিপুল প্রমুখ।
 
এদিকে সন্ধ্যা পরে শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালিতে বিকল্পধারার প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজার পথসভায় হামলা করে মহাজোটের প্রার্থী এসএম জগলুল হায়দারের সমর্থকরা। তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হন বিকল্পধারার কর্মী বিল্লাল, আহসান ও সফিকুল।  

গোলাম রেজা বাংলানিউজকে বলেন, ‘হামলাকারীরা তাকে বহনকারী একটি গাড়িসহ কমপক্ষে তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পাতাখালি ছাড়াও তার বহরের ওপর বুড়িগোয়ালিনী লঞ্চঘাট ও নোয়াবেকিতে হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থকরা শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ডে বিকল্পধারার প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। ’

‘তার প্রতিপক্ষের লোকজন ফের সংগঠিত হচ্ছে। রাতে তারা ফের হামলা করবে বলে হুমকি দিয়েছে’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।  

অপরদিকে পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘বিকল্পধারা প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজার উপস্থিতিতে বিকেলে তার বাড়িতে হামলা হয়েছে। তারা তার বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এসময় বাধা দিতে গিয়ে আহত হন সুজন, গফুর, কাসেম, সাজিদ ও রোকনুজ্জামানসহ পাঁচজন। ’

‘অতর্কিতে এ হামলা হওয়ায় তার লোকজন মার খেয়েছে। গোলাম রেজা এ এলাকায় সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন’ বলেও তিনি অভিযোগ করেন।  

শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন বাংলানিউজকে বলেন, ‘সন্ধ্যায় বিকল্পধারার প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজা তার লোকজন নিয়ে মুন্সিগঞ্জের মুনসুর সরদারের গ্যারেজ এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। তাদের বেপরোয়া মারপিটে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। হামলার সময় তিনিসহ কয়েকজন নেতা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।