ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয় পার্টি

আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন শূন্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন শূন্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন একেবারে শূন্য। সারাদেশে খবর নেন। আপনাদের উন্নয়ন খালি ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে। ঢাকার বাইরের মানুষের দুরাবস্থা নিয়ে আপনাদের কোনো নজর নেই। তাই আপনাদের জনপ্রিয়তা একেবারেই কমে গেছে। 

সোমবার (১২ মার্চ) মতিঝিলের এজিবি কলোনী কমিউনিটি সেন্টারে ২৪ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আয়োজনে প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এরশাদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেন- বাংলাদেশ নাকি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু কোথায়? পানির উপরে বস্তি ঢাকায় এখনও আছে। আজকেও বিশাল বস্তিতে আগুন লেগেছে। এদের ব্যবস্থাপনায় আপনাদের কোনো নজর দেখছি না। তাদের কেউ খবর রাখে না। এতো দামি চাল কিনে কেউ তো ভাত খেতে পারছে না। অনাহারে দিন কাটাচ্ছে তারা। এদের প্রতি জাতীয় পার্টি নজর রাখে। দেশ গড়ার কারিগর শ্রমিকদের জাতীয় পার্টি ভালোবাসে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রিজভী সাহেব বলেছেন- জাতীয় পার্টি সমর্থিত মানুষের নাকি অনেক অভাব। আমরা বিএনপিকে দেখিয়ে দিতে চাই আমাদের সমর্থক কতো। ২৪ তারিখে আমরা এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ করে এ কথার উত্তর দেবো। বিএনপি নিজেই ভেঙে পড়ছে তারা আবার অন্য দলের শক্তি নিয়ে কথা বলার সাহস পায় কোথা থেকে।  

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে। কেননা সারাবিশ্বের নজরদারিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দুর্নীতি করার সুযোগ খুব কমই থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জাতীয় পার্টি ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে না। কেননা বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হচ্ছে জাতীয় পার্টি। তার প্রথম ও প্রধান কারণ হচ্ছে জাতীয় পার্টি সাধারণ জনগণকে ভালোবাসে। তাদের পাশে থাকে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, গোলাম মোহাম্মদ কাদের, জিয়াউদ্দীন আহমেদ, মীর আব্দুস সবুর, বেগম রওশন আরা, অধ্যাপক বেলাল হোসেন খান, মাওলানা হাবিবুল্লাহ বেলালী, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, জহিরুল ইসলাম রুবেল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
এমএএম/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।