ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয় পার্টি

আগাম নির্বাচন হতে পারে: এরশাদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
আগাম নির্বাচন হতে পারে: এরশাদ বক্তব্য রাখছেন জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেছেন, দেশে আগাম নির্বাচন হতে পারে বলে কথা ভেসে বেড়াচ্ছে বাতাসে। তার জন্য প্রস্তুত আছি। যখনই নির্বাচন হোক জাতীয় পার্টি অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছে। 

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে দলের কার্যালয়ে সম্মিলিত জাতীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এইচ এম এরশাদ এ মন্তব্য করেন।  

তিনি বলেন, এখন রাজনীতিতে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে।

আমরা কিন্তু অস্থির নেই। আমরা ভালো আছি। আমাদের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। জীবনে সুযোগ বারবার আসে না, আল্লাহ এবার সুযোগ দিয়েছেন, এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।

আগামী ২৪ মার্চের মহাসমবেশ সফল করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এই সমাবেশে লাখো মানুষেল সমাগম ঘটাতে হবে। দেখিয়ে দিতে হবে জাতীয় পার্টি অনেক বেশি শক্তিশালী। জাতীয় পার্টি ক্ষমতা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত।

এরশাদের এই বক্তব্যকে সংশোধনী দিয়ে পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, স্যার জাতীয় জোট হবে।  

এ কথা শুনে মুচকি হেসে এরশাদ বলেন, সব সময় জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি বলে এসেছি তো তাই বারবার জাতীয় পার্টি চলে আসছে।
তিনি বলেন, আপনারা লোক নিয়ে আসবেন। আমরা যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করবো। কিন্তু কতটুকু পারবো জানি না। আপনারা জানেন তো আমরা ২৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে জাপা মহাসচিব বলেন, বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

‘জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। প্রার্থী যাচাই-বাছাই অনেক দূর এগিয়েছে। তৃণমুল থেকেও মতামত নেওয়া হবে। ’

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, প্রার্থী মনোনয়ন বিষয়ে আগামীতে বোর্ড বসে চূড়ান্ত করবে। পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোটের রাজনীতির সংস্কৃতিকেও মাথায় রাখা হচ্ছে।  

মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন ছিল, জাপা একই সঙ্গে বিরোধীদল দাবি করলেও মন্ত্রিসভাতেও রয়েছে। বিষয়টি সাংঘর্ষিক কি-না? জবাবে মহাসচিব রুহুল আমিন বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে কখনও কখনও সরকারে থাকাটা বাঞ্ছনীয় হয়ে ওঠে। আমরা সংসদে কী রোল প্লে করছি সেটাও দেখার বিষয়।

বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে নানা রকম গুঞ্জন চলছে। এ বিষয়ে জাপা মহাসচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, যতদিন তারা ঘোষণা দেয়নি, ততদিন তারা আসছে এটাই ধরেই নিই আমরা।  

অপর প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব বলেন, সবদল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এটাই কাম্য।

১৯৯০ সালের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। আমাদের সঠিকভাবে নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। তবুও আমরা কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত না নিয়ে নির্বাচনে ছিলাম।

সম্মিলিত জাতীয় জোটের বৈঠকে পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ছাড়াও প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা,  সাহিদুর রহমান টেপা, মেজর (অব.) খালেদ আক্তার, সুনীল শুভরায়, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম দফতর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সউম আব্দুস সামাদ, মাওলানা আনম মাসউদ হোসাইন আল ক্বাদেরী, অর্থ সচিব সৈয়দ মোজাফ্ফর আহমদ, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাছের ওহেদ ফারুক, কোষাধ্যক্ষ মুফতি মহিবুল্লাহ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আবুল হাছানাত, বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ) প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনি, মুখপাত্র শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, সমন্বয়কারী মো. আখতার হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮/আপডেট/
এসআই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।