ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

হজ নিবন্ধন বাতিলের আবেদন শুরু ১৯ জুলাই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
হজ নিবন্ধন বাতিলের আবেদন শুরু ১৯ জুলাই

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের কারেণ সৌদি আরব সরকার বাইরে থেকে হজযাত্রীদের হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় দেশের নিবন্ধন বাতিলের সময়সূচি নির্ধারণ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আর কেউ নিবন্ধন বাতিল না করলে তার নিবন্ধন ২০২১ সালের জন্য কার্যকর থাকবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ রোববার (১২ জুলাই) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
 
এতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস মহামারিজনিত কারণে এবছর অন্য দেশ থেকে কোনো হজযাত্রী হজ পালন করতে সৌদি আরব যেতে পারবে না।

সৌদি আরবে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিক ও সৌদি আরবের নাগরিকদের অংশগ্রহণে সীমিত পরিসরে হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের জন্য প্রাক-নিবন্ধিত ও নিবন্ধিত ব্যক্তিদের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
 
সিদ্ধান্ত:
২০২০ সালে হজ পালনের জন্য যাদের প্রাক-নিবন্ধনের মেয়াদ বৈধ ছিল, তা ২০২১ সালের জন্য বলবৎ থাকবে।
 
সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যস্থাপনার যেসব প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তি ২০২০ সালের হজের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন তাদের নিবন্ধন ২০২১ সালের জন্য বৈধ থাকবে। নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদের জমা টাকা ২০২১ সালের প্যাকেজ মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
 
২০২০ সালের হজযাত্রী নিবন্ধন বাতিল বিষয়ে ই-হজ সিস্টেমের উপর সব ব্যাংকের প্রতিনিধি, নিবন্ধন কেন্দ্রের প্রতিনিধি এবং হজযাত্রী নিবন্ধনকারী এজেন্সির প্রতিনিধিদের ১৩ জুলাই থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
 
হজ পালনের জন্য সরকারি-বেসকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী নিবন্ধন বাতিল করতে চাইলে আগামী ১৯ জুলাই থেকে হজ পোর্টাল www.hail.gov.bd অথবা https://prp.pilgrimbd.org/hajrefund লিংকে নিজে বা নিবন্ধন কেন্দ্র থেকে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন অনুমোদিত হলে তার অনুকূলে নিবন্ধন বাতিল ভাউচার তৈরি হবে এবং ২০২০ সালের নিবন্ধন ও প্রাক-নিবন্ধন উভয়ে বাতিল হবে। ভবিষ্যতে হজে যেতে চাইলে তাকে নতুনভাবে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করতে হবে।
 
নিবন্ধন বাতিলকারী ব্যক্তিকে কোনো প্রকার কর্তন ব্যতীত তার প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনার হজ নিবন্ধন বাতিলকারী ব্যক্তির ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক থেকে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের জন্য জমা সমুদয় অর্থ অনলাইনে সরাসরি হজযাত্রীর অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হবে। কোনো হজযাত্রীর ব্যাংক হিসাব না থাকলে তার ইচ্ছানুযায়ী পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। এজন্য তাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে নিবন্ধন বাতিল ভাউচার ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।
 
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের জন্য জমা সমুদয় অর্থ হজযাত্রীর ইচ্ছানুযায়ী সরাসরি নিবন্ধনকারী ব্যাংক থেকে অনলাইনে হজযাত্রীর অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর অথবা এজেন্সির মাধ্যমে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রাক-নিবন্ধনের জন্য জমা অর্থ আগের মতো পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকা থেকে হজযাত্রীর ইচ্ছানুযায়ী সরাসরি তাকে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হবে।
 
নিবন্ধিত হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের সময় জমা অর্থ কোনো অবস্থাতেই এ পর্যায়ে হজ কার্যক্রম বাবদ বাংলাদেশে ব্যয় করা যাবে না এবং সৌদি আরবেও পাঠানো যাবে না। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ব্যতীত কোনো এজেন্সি ব্যাংক থেকে এ টাকা তুলতে পারবে না। ২০২০ সালে নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদের জমা টাকা ২০২১ সালের প্যাকেজমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
 
২০২০ সালে নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদের জমা টাকা যেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ব্যতীত কোনো এজেন্সি তুলতে না পারে সে ব্যাপারে হজযাত্রী নিবন্ধকারী সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো। ব্যাংক কর্মকর্তারা হজ নিবন্ধন বাতিলকারীর অর্থ ছাড় করার আগে হজযাত্রীদের পরিচয়পত্রের সঙ্গে ভাউচারের তথ্য নিশ্চিত করে নেবেন।
 
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, এবছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জনের বিপরীতে নিবন্ধন করেছেন মোট ৬৪ হাজার ৫৯৪ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন ৪৫৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬১ হাজার ১৩৭ জন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।