ঢাকা: সিরিয়ার পালমিরা নগরীর ঐতিহাসিক স্থাপত্যের কাছে দু’টি প্রাচীন মাজারকে বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা। প্রায় এক মাস আগে সিরীয় সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে শহরটির দখল নেয় তারা।
শনিবার অনলাইনে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় পালমিরা থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই মাজার দু’টিকে উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
পালমিরা আইএস কবলিত হওয়ার পর এটাই প্রথম এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ। এর মধ্য দিয়ে অারবিতে তাদমুর হিসেবে খ্যাত ইউনেস্কো ঘোষিত অন্যতম বিশ্ব ঐতিহ্য প্রাচীন এই রোমান নগরীর ভবিষ্যত নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

ছবিতে দেখা গেছে একটি পাহাড়ের ওপর অবস্থিত হযরত আলী (রা.) এর অন্যতম সঙ্গী মোহাম্মদ বিন আলীর মাজারকে উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া উড়িয়ে দেয়া অপর ধর্মীয় স্থাপনা প্রখ্যাত সূফি জ্ঞানতাপস নিজার আবু বাহাউদ্দিনের মাজারটির বয়সও কমপক্ষে ৫শ’ বছর।
এক বিবৃতিতে সব মূর্তি এবং মাজার গুড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা। তাদের মতে এগুলো অনৈসলামিক।

গত মার্চ মাসেও ইরাকের মসুল নগরীর নিকটবর্তী তিন হাজার বছরের প্রাচীন অ্যাসিরীয় নগরীকে বুলডোজার চালিয়ে ধ্বংস করে আইএস। পাশাপাশি মসুলের ঐতিহাসিক জাদুঘরের প্রাচীন পুরাকীর্তিকেও নষ্ট করে ফেলে তারা।
এছাড়াও ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত বিভিন্ন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং সূফী সাধকদের মাজার গুড়িয়ে দিয়েছে তারা।
এদিকে কয়েকদিন আগে আইএস জঙ্গিরা পালমিরার ঐতিহাসিক নিদর্শনের চারদিকে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক বসায়।
জানা গেছে, শহরটিকে পুনর্দখল করতে সরকারি বাহিনীর অগ্রযাত্রা রোধ করতে সেখানে এই বিস্ফোরক বসায় আইএস।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৫
আরআই