ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লালকেল্লার ভাষণে বিরোধীদের কড়া নিশানা মোদির 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
লালকেল্লার ভাষণে বিরোধীদের কড়া নিশানা মোদির 

লালকেল্লা থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের দশম ভাষণ দিলেন নরেন্দ্র মোদি। তৈরি করে দিলেন চব্বিশের লোকসভা ভোটের প্রেক্ষাপট।

 

২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে বিশ্বমঞ্চে উন্নত দেশে উন্নীত করতে মরিয়া মোদি। এ জন্য ‘সত্য, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা’য় জোর দিয়েছেন তিনি। বিরোধীদের বিঁধে প্রধানমন্ত্রীর সাফ দাবি, ‘দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র ও তুষ্টিকরণ’ লক্ষ্য পূরণের পথে বড় বাধা।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর দাবি, ২০১৪ সালে দেশবাসী বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছিল, পরের পাঁচ বছরের কর্মক্ষমতা গেরুয়া শিবিরকে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরিয়েছে। পরবর্তী পাঁচ বছর অভূতপূর্ব উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছে কেন্দ্রীয় সরকার।  
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি একাধিকবার নিজের সরকারের ‘কৃতিত্ব’ জাহির করেছেন। প্রত্যয়ী মোদি এদিন দাবি করেছেন যে, আগামী বছরও লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করতে আসবেন তিনিই।

মোদি বলেন, দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র ও তুষ্টিকরণের রাজনীতি- এই তিন অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করা এখন সময়ের দাবি। আমাদের দেশের মূল সমস্যা হল দুর্নীতি, যা দেশকে ফাঁপা করে দিচ্ছে। সব প্রক্রিয়াকে থমকে দিচ্ছে। পরিবারতন্ত্র মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তুষ্টিকরণ সমাজে অভিশাপের মতো। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।  

প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। জনজীবনে দুর্নীতির চেয়ে নোংরা আর কিছু হতে পারে না। ’

বিরোধীদের আক্রমণ করে মোদি বলেন, আমাদের গণতন্ত্রে এমন একটি বিকৃতি তৈরি হয়েছে যা কখনো দেশকে শক্তিশালী করতে পারে না। কী সেই রোগ? পরিবারতান্ত্রিক দল। তাদের মন্ত্র কী? পরিবারের পক্ষে, পরিবারের দ্বারা ও পরিবারের জন্য। এটি তাদের জীবন মন্ত্র। স্বজনপ্রীতি প্রতিভার শত্রু, যা যোগ্যতাকে আমল দেয় না এবং যাদের যোগ্যতা রয়েছে তাদের প্রত্যাখ্যান করে। তাই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য স্বজনপ্রীতি থেকে মুক্ত হওয়া একান্তই প্রয়োজন।

মোদির বার্তা, স্বপ্ন অনেক, সংকল্প পরিষ্কার, নীতিও স্পষ্ট। ফলে এখন লক্ষ্য পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। আমি লালকেল্লায় এসেছি আপনাদের আশীর্বাদ চাইতে। ২০৪৭ সালে যখন আমাদের দেশ স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন ভারত একটি উন্নত জাতিতে পরিণত হবে। সেই জন্য স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতায় জোর দিতে হবে। প্রতিষ্ঠান, নাগরিক ও পরিবারের মধ্যে দিয়ে সামাজিকভাবে দায়বদ্ধতা গড়ে তুলতে হবে।

আগামী বছর লোকসভায় বিরোধীদের মোকাবিলায় দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র ও তুষ্টিকরণের রাজনীতিকেই প্রচারে তুলে ধরবে বিজেপি, তা স্পষ্ট।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস 

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।