ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

 আসছে ‘বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২২
 আসছে ‘বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড’

ঢাকা: সঙ্গীতের ভাষায় সারা বিশ্বের সাইবার জগতকে নিরাপদ করতে চাই উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী বছর (২০২৩ সাল) ইউএনডিপি-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করা হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ৬ মে নিউইয়র্ক ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিতব্য গোল্ডেন জুবলি বাংলাদেশ কনসার্ট উপলক্ষে প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (০৫ মে) নিউইয়র্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।  

পলক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসনের অনন্য উদ্যোগকে স্মরণীয় করতে গোল্ডেন জুবলি বাংলাদেশ কনসার্টের আয়োজন করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পারিপার্শ্বিক বাস্তবতায় তিন দফা তারিখ পিছিয়ে ৬ মে ঐতিহাসিক ম্যাডিসন স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হবে গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট। এরই মধ্যে ৪ হাজারের মতো টিকেট বিক্রি হয়েছে। আর বাংলাদেশ যেহেতু এখন একটি সমৃদ্ধ ও মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র তাই এই কনসার্ট থেকে অর্জিত আয় সাইাবার নিরাপত্তায় ইউএনডিপির তহবিলে দেওয়া হবে।  

পাশপাশি আগামী বছর থেকে ইউএনডিপি-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তনের ও ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয় দারিদ্র ও দুর্নীতির লজ্জাবোধের জায়গা থেকে বাংলাদেশ এখন সম্মানজনক অবস্থানে এসেছে।  

তথ্য প্রযুক্তিকে সবসময় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে পলক বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ইপিআরের ওয়্যারলেস সিস্টেম প্রযুক্তি করে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাংলাদেশের সর্বত্র পৌঁছে দিয়েছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯০ শতাংশ মোবাইলফোন দেশেই উৎপাদনের পর তা বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশে ল্যাপটপ তৈরি করছে ওয়ালটন। এখন মেড ইন বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটি জনপ্রিয় নাম। অথচ এক সময় আমরা এই ধরনের ইলেকট্রনিক্স বা ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন বা রপ্তানি তো পরের কথা আমদানি করে ব্যবহার করা সম্ভব হতো না। কারণ আমাদের অর্থনীতির সেই সমৃদ্ধি ছিল না। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আজ তলাবিহীন ঝুঁড়ি নয় সম্পদে সমৃদ্ধ ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে।

কনসার্ট বাস্তবায়নকারী সংস্থা হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলর মনিরুল ইসলাম।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আলম রুহুল, অপারাজিতা হক, এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনির চৌধুরী, ডিজিটাল নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক খায়রুল আমিন ও তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজাউল মাকসুদ জাহেদী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২২
এমআইএইচ/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।