ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইউটিউবে ‘আগামীর চোখে বাংলাদেশ’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
ইউটিউবে ‘আগামীর চোখে বাংলাদেশ’

ঢাকা: টেক সার্ভিস লিডার ও ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন ‘আগামীর চোখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক যুগোপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস অমর করে রাখতে বিজয়ের ৫০ বছরে মুক্তিযুদ্ধে ঘটে যাওয়া অবিস্মরণীয় ঘটনাগুলো থেকে গ্রামীণফোন বাছাই করে নিয়েছে কিছু ঘটনা।

আর সেই ঘটনাগুলোকে শিশুদের উপযোগী করে অ্যানিমেটেড কার্টুন আকারে তুলে ধরা হয়েছে নতুন প্রজন্মের সামনে। সেগুলো ভিডিও কনটেন্ট আকারে রয়েছে গ্রামীণফোনের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৫০-এ দাঁড়িয়ে একাত্তরে দেশ স্বাধীন করার পেছনে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ জনগণের আত্মত্যাগ পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাস, মুক্তিযুদ্ধের এ ইতিহাসই আগামী প্রজন্মের এগিয়ে যাওয়ার সাহস যোগাবে এবং বাঙালি জাতির বীরত্বগাঁথা ও দেশপ্রেমের সত্য ঘটনাগুলো নবীন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসাকে তীব্র করে তুলবে। আর এ বিষয়ে তাদের জানানো গ্রামীণফোন নিজেদের দায়িত্ব বলে মনে করে।  

আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার উদ্যোগটি সবার কাছে পোঁছে দিতে গ্রামীণফোন সম্প্রতি একটি ওয়েবিনার আয়োজন করে। গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশারের উপস্থাপনায় ওয়েবেনিয়ারে অংশগ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, গ্রামীণফোনের সিএমও সাজ্জাদ হাসিব, প্রতিষ্ঠানটির হেড অব মার্কেটিং নাফিস আনোয়ার চেীধুরী এবং গ্রে’র সিইও গাউসুল আলম শাওন।  

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গ্রামীণফোনের ইউটিউব চ্যানেলের অ্যানিমেশন সিরিজের উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।

মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করা বীর মুক্তিযাদ্ধাদের সাক্ষাৎকার ও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত বই, ম্যাগাজিন ও পত্র-পত্রিকা থেকে। আর সেগুলো পাঠ করেছেন জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী অপি করিম, তারিক আনাম, ফজলুর রহমান বাবুসহ স্বনামধন্য তারকারা। এই উদ্যোগের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।

তিনি এই উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, এই প্রজন্মের সঙ্গে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এটি একটি দারুণ উদ্যোগ। বাচাদের সামনে আমাদের ইতিহাসকে তাদের মতো করে, তাদের ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আমাদের ইতিহাসকে ধারণ করতে সহায়তা করবে।

গ্রামীণফোনের সিএমও সাজ্জাদ হাসিব বলেন, অদ্ভূত সাহসিকতার দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছেন আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে লুকিয়ে আছে এমন অনেক শিক্ষণীয় বিষয়, যা আমাদের নতুন প্রজন্মকে আগামীর দিনগুলোকে জয় করার পথ দেখাবে। ৫০ বছরের এই অর্জনের ওপর নির্মিত হয়ে চলেছে আগামীর বাংলাদেশ। বিজয়ের এই মর্মকথা আগামী প্রজন্মেকে অবগত করবার জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমাদের প্রত্যাশা, এই উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম তাদের মতো করে স্বাধীনতার ইতিহাস জানবে, বুঝবে এবং শিখবে। সুবর্ণ জয়ন্তীর এই মুহূর্তে দেশপ্রেমের এই আলো বিজয়ের মাসে ছড়িয়ে যাক প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।

মা-বাবা অথবা একজন অভিভাবক হিসেবে আগামী প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব। তাই বিজয়ের ৫০-এ আসুন আমরা আমাদের সন্তানদের জানাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। এই ঘটনাগুলো দেশপ্রেমের মশাল হয়ে আলো ছড়িয়ে যাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে, এই প্রত্যাশা নিয়েই কাজ করে চলেছে গ্রামীণফোন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
এমআইএইচ/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।