ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

করোনা মোকাবিলায় শেষ পর্যন্ত মানুষের পাশে থাকবে রবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
করোনা মোকাবিলায় শেষ পর্যন্ত মানুষের পাশে থাকবে রবি

ঢাকা: চলমান করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সমাজের সবার পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। এ পরিপ্রেক্ষিতে রবির স্পষ্ট অবস্থান হচ্ছে, বাজারমুখী পদক্ষেপ আর করপোরেট দায়বদ্ধতা সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপকে এক করে ফেলার সুযোগ নেই।

যদিও দু’টি বিষয়ই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, কিন্তু দু’টি বিষয় দুই ধারায় কার্যকর বলে কোম্পানি একে এক করে দেখতে রাজি নয়। বাজার সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপের সঙ্গে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের বিষয়টি জড়িয়ে আছে।

কিন্তু টেকসই পদক্ষেপগুলো শুধুই সমাজের দিকে তাকিয়ে নেওয়া হয়।

সোমবার (১১ মে) আয়োজিত এক ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে কোভিড-১৯’র বিরুদ্ধে রবি কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে পদক্ষেপ নিচ্ছে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। এসময় রবি’র চিফ কপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলমসহ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মাহতাব জানান, এখন দৈনিক রাজস্ব ৪ কোটি টাকা কম হওয়ার পরও রবি নির্দিষ্ট প্যাকগুলোতে ডাটা প্রাইস ৬০ শতাংশের মতো কমিয়ে এনেছে। ভয়েসের ক্ষেত্রেও যথাসম্ভব কমানো হয়েছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বর্তমানে ব্যয় ও মূল্যের অনুপাতে বাজারে সেরা অফার মূল্য দিচ্ছে রবি।

তিনি আরো জানা, বাজার ও টেকসই পদক্ষেপ মিলিয়ে করোনা মেকাবিলায় রবি’র ব্যয় এরই মধ্যে ১৭০ কোটি টাকা (৯০ কোটি টাকা পুরোপুরি সিএসআর ও টেকসই পদেক্ষেপে এবং বাকি ৮০ কোটি টাকা বিপণন সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপে) ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু টাকার অঙ্কটা বড় ব্যাপার না, বরং রবি এ মহামারির শেষ পর্যন্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মাহতাব মার্কেট লিডারের আগ্রাসী পদক্ষেপের হাত থেকে ছোট প্রতিযোগীদের রক্ষা করতে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি মনে করছেন, মার্কেট লিডার তাদের বাজারভিত্তিক পদক্ষেপকে সিএসআর’র মোড়কে উপস্থাপন করায় প্রতিযোগিতার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের মতো সামর্থ্যবান গ্রাহকদের জন্য মার্কেট লিডারের মাত্র ১ টাকায় ৩০ জিবি ডাটা দেওয়ার মতো অফারগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদন দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন মাহতাব। তিনি অভিযোগ করেন মার্কেট লিডার কোভিড-১৯’র সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাজার কুক্ষিগত করছে। মার্কেট লিডারের দেওয়া ওই অফারটিকে তিনি মূল্য যুদ্ধের প্রকৃষ্ট উদাহণ হিসেবে তুলে ধরেন।

মাহতাব দৃঢ়ভাবে বলেন, মার্কেট লিডারের অফারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য আমরাও গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন অফার আনছি। এমন অফারের মধ্যে রয়েছে- যারা নিয়মিত রিচার্জ করতেন, কিন্তু করোনা সঙ্কটের কারণে করতে পারছেন না, তাদের জন্য বিনামূল্যে ১০ মিনিট টকটাইম ও ৫০ এমবি ডাটা দিচ্ছি। এছাড়া রবি বিক্রয় ও পরিবেশন কর্মীদের জন্য খাবার সরবরাহ, আর্থিক সহায়তা ও স্বাস্থ্য বিমাসহ সার্বিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

মাহতাব বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি মার্কেট লিডারকে সুশৃঙ্খলভাবে চলার জন্য পদক্ষেপ না নেয়, তবে তারা কোভিড-১৯ সঙ্কটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করবে। যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকার এটা মনে না করে যে দেশের স্বার্থে একটি অপারেটরই যথেষ্ট, তবে এখনই তাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কারণ মার্কেট লিডার যদি এসএমপি বিধিমালা মেনে না চলে তবে আমরা আর ব্যবসা টিকিয়ে রাকতে পারবো না।

সংবাদ সম্মেলনে মাহতাব রবি’র সিএসআর ও টেকসই বিষয়ক পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। সেনা কল্যাণ সংস্থার সহযোগিতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে খাবার বিতরণের ঘোষণা দেন তিনি। ঢাকা ও চট্টগ্রামের জনসমাগমস্থলগুলোতে জীবাণুমুক্তকরণ বুথ স্থাপন করবে রবি।

এছাড়া রবি’র স্থাপিত ও পরিচালিত সরকারের ৩৩৩ হটলাইনটি আজকের কোভিড-১৯ সঙ্কটের কেমন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এ ব্যাপারে আলোকপাত করেন তিনি। বর্তমান সঙ্কটে রবি-টেন মিনিট স্কুলের অসামান্য অবদান সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।