ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ফাইভ-জি’তে ১.৬ জিবিপিএস গতির সাক্ষী ঢাকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
ফাইভ-জি’তে ১.৬ জিবিপিএস গতির সাক্ষী ঢাকা

ঢাকা: প্রথমবারের মতো ফাইভ-জি অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেয়েছে দেশের সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় এ অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয় মেলাটির টাইটেনিয়াম সহযোগী ‘হুয়াওয়ে’।

২০১৮ সালের ২৫ জুলাই বাংলাদেশে ফাইভ-জি সেবা পরীক্ষায় মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিল হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড।

তখন ৮০০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৪ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনেট গতি পাওয়া গিয়েছিল।

সেখানে এখন মাত্র ১০০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম (গতবারের ৮ ভাগের এক ভাগ) ব্যবহার করেই প্রতি সেকেন্ডে ১.৪ জিবি থেকে ১.৭ জিবি পর্যন্ত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার করা সম্ভব হবে। দর্শনার্থীরা মেলার উদ্বোধনী দিনেই সেকেন্ডে ১.৬ জিবি গতিতে ডেটা ট্রান্সফারের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

ফাইভ-জি’র উন্নয়ন ও গবেষণায় হুয়াওয়ের দীর্ঘ দিনের অবিরাম প্রচেষ্টার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ফাইভ-জি’র অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণায় গত ১০ বছর কাজ করছে হুয়াওয়ে। আর এর মধ্যেই ব্যয় করা হয়েছে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন বলেন, প্রযুক্তিগত সুবিধাকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গত ২১ বছর ধরে এদেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি, টেলিকম অপারেটর ও স্থানীয় সহযোগীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এখন ফাইভ-জি চালু হয়েছে এবং হুয়াওয়েও প্রস্তুত। ফাইভ-জি’র গবেষণা ও উন্নয়নে আমরা এক দশক ধরে কাজ করছি। যেখানে ব্যয় হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফাইভ-জি গবেষণা ও উন্নয়নে আমরাই শীর্ষস্থানীয় এবং ২১ হাজারেরও বেশি থ্রিজিপিপি ফাইভ-জি এনআর সমেত ফাইভ-জি পেটেন্টও আমাদেরই সবচেয়ে বেশি।

তিন দিনব্যাপী এই মেলা চলাকালে আগত দর্শনার্থীরা হুয়াওয়ের প্যাভিলিয়নে সরাসরি ফাইভ-জি স্পিড ও লো- ল্যাটেন্সি অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। এছাড়া এখানে আকর্ষণ হিসেবে থাকছে, বিশেষ একটি রোবট। যাকে হাতের ইশারায় পরিচালনা করে ফুটবল খেলা যাবে। ফাইভ-জি প্রযুক্তিতে কত দ্রুত হিউম্যান টু মেশিন কিংবা মেশিন টু মেশিন কমিউনিকেশন সম্ভব, তা তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই এই আয়োজন তাদের।

পাশাপাশি আরও একটি প্লে-জোন থাকছে, যেখানে সবাই ফাইভ-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে রিয়েল-টাইম ভি-আর উপভোগ করতে পারবেন। ফাইভ-জি ভি-আর পরার সঙ্গে সঙ্গেই অংশগ্রহণকারী নিজেকে খুঁজে পাবেন স্কিইরত অবস্থায়। উন্নত প্রযুক্তি এবং অডিও কিংবা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সরাসরি অভিজ্ঞতা দিতেই হুয়াওয়ের এই আয়োজন। থাকছে হুয়াওয়ের ফাইভ-জি স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ। এছাড়া দর্শনার্থীরা চাইলে কিনতে পারবেন বাজারে বর্তমান হুয়াওয়ের ফোনগুলোও।

বৃহস্পতিবার সকালে মেলাটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, বিভাগের সচিব নূর উর রহমান এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন উপস্থিত ছিলেন।

এই মেলা চলবে আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।