ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ভারতে বিয়ের প্রস্তাবে রোবট সোফিয়ার ‘না’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
ভারতে বিয়ের প্রস্তাবে রোবট সোফিয়ার ‘না’ মুম্বাইতে টেকনোমেলায় শাড়িপরা রোবট সোফিয়া

ঢাকা: দুনিয়া মাতাচ্ছে রোবট সোফিয়া। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ মাতিয়ে যাওয়া সৌদি এই সিটিজেন নারী রোবট এখন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ ভারতে। ভারতে এসে সে নিজেকে সাজিয়েছে ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়িতে। শাড়িপরা সোফিয়াকে একজন বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে। কিন্তু সে প্রস্তাবে সরাসরি ‘না’ বলে দিয়েছে এই বেরসিক রোবট মানবী।

ইংল্যান্ড ও ভারতে একাধিক সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যায়, ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী বলে খ্যাত এবং বলিউডের সুবাদে সিনেনগর হিসেবে পরিচিত মুম্বাইয়ের IIT-Bombay Techfest নামের একটি তথ্যপ্রযুক্তিমেলায় আমন্ত্রণ পেয়ে হাজির হয়েছিল সোফিয়া। সেখানে সে মানুষ ও যন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছে।

৩০০০-এরও বেশি লোকের সমাবেশে এ বিষয়ে অসংখ্য প্রশ্নের জবাব দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাধারী এই যন্ত্রমানবী।

তবে মূল ভেন্যুতে ইন্টারন্টে সংযোগের দুর্বলতার কারণে রোবট সোফিয়াকে বেশ কবার হোঁচট খেতে হয়েছে। এ সত্ত্বেও সব মিলিয়ে হাজারো প্রযুক্তিপ্রেমীর মন ঠিকই রাঙাতে পেরেছে সে।

মুগ্ধ দর্শকদের সবাই কিন্তু শুধু তথ্যপ্রযুক্তিতেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখতে চাননি। কেউ কেউ সোফিয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ার আগ্রহও প্রকাশ করবার মনোবাসনার কথা জানিয়েছেন। একজন ছিলেন সবার চেয়ে এক কাঠি সরেস। তিনি শাড়িপরা সোফিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন।

কিন্তু এমন রোমান্টিক প্রস্তাবেও সোফিয়ার যান্ত্রিক হৃদয় মোটেই গলেনি। প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিতে মুহূর্তকাল দেরি করেনি সে: ‘আমি সবিনয়ে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিচ্ছি। তবে আপনার এই শুভেচ্ছার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ’।

সে কোন ভাষায় কথা বলে এই মর্মে সোফিয়াকে প্রশ্ন করেছিলেন একজন। জবাবে সোফিয়া বলেছে, ‘এখন আমার বয়স মাত্র ২ বছর। তাই এখন পর্যন্ত আমি কেবল ইংরেজি ও চীনা ভাষা জানি। তবে বছর কয়েকের মধ্যে আমি দুনিয়ার সব ভাষায় কথা বলতে পারবো। ’

 সোফিয়া নামের এই নারী রোবটটির নির্মাতা হংকংভিত্তিক হানসন রোবোটিক্স (Hanson Robotics)। এ নিয়ে প্রযুক্তিপ্রেমীদের আগ্রহ ও কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। কিন্তু সৌদি আরব যখন রোবট সোফিয়াকে নাগরিত্ব দেবার ঘোষণা দিয়ে বসে তখন দুনিয়াজুড়ে তৈরি হয় এমন এক সোফিয়াক্রেজ। যা কেবল বেড়েই চলেছে। এমন অসমর্থিত দাবির কথাও শোনা যায় যে, সৌদি নারীরা সেদেশে যতটুকু অধিকার ভোগ করে থাকে, রোবট সোফিয়াকে নাকি দেওয়া হয়েছে এরচে ঢের বেশি অধিকার (And it was immediately claimed that as a female robot, Sophia was actually given more rights than the human women in the Islamic kingdom.)

এই দাবির পক্ষে যুক্তি দেখানো হচ্ছে, সোফিয়ার অধিকার বা ইচ্ছা অনিচ্ছার দাম বেশি বলেই হিজাব না পরেও সোফিয়া জনসমক্ষে আসতে পারে। কিন্তু কোনো সৌদির নারীর এমন স্বাধীনতা একদমই নেই।

একের পর এক দেশ ভ্রমণ করছে সে। যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই তার বেলায় একটা আপ্তবাক্যই সত্য হয়ে দেখা দিচ্ছে: ‘এলাম, দেখলাম আর জয় করলাম’।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।