ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

কম মূল্যে ইন্টারনেটের পথ খুললো, তবে…

ইসমাইল হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
কম মূল্যে ইন্টারনেটের পথ খুললো, তবে… ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশে পৃথিবীর অন্য দেশের তুলনায় ইন্টারনেটের দাম কম হলেও মধ্যসত্ত্বভোগীদের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ায় ইন্টারনেটের খরচ আরও কমে আসার পথ তৈরি হয়েছে।

আরো কম খরচে ইন্টারনেট সেবা পেতে মধ্যসত্ত্বভোগীদের কম লাভে সরবরাহ এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বলেছে, গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমাতে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।


 
কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের (এসএমডব্লিউ-৫) উদ্বোধন করা হয় রোববার (১০ সেপ্টেম্বর)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন।

 
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির (বিএসসিসিএল) অধীন এটি দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল, যেখান থেকে ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে। আর কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের (এসএমডব্লিউ-৪) ৩০০ জিবিপিএস ক্যাপাসিটি রয়েছে।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে বলেন, ‘কক্সবাজারের ৩০০ এমবিপিএসের সঙ্গে কুয়াকাটার মাধ্যমে আরো ১ হাজার ৫০০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাবো। দ্বিতীয় লাইনটি ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করবে’।
 
তিনি বলেন, ‘কুয়াকাটা থেকে এখন ২০০ এমবিপিএস এবং আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারি নাগাদ আরো ২০০ এমবিপিএস দিতে পারবো। আমাদের চাহিদার (৪১১ এমবিপিএস) বেশি ব্যান্ডউইথ রফতানির সুযোগের পাশাপাশি কম দামে সেবা দেওয়ারও পথ তৈরি হলো’।
 
তবে আগের মধ্যসত্ত্বভোগী দু’টি প্রতিষ্ঠানের (ফাইবার অ্যাট হোম ও সামিট) কাছে এনটিটিএন লাইসেন্স থাকায় গ্রাহকরা কম দামে ইন্টারনেট সেবা পান না। এক্ষেত্রে আইএসপিগুলোকে (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) লাইসেন্স দিলে সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করে আইএসপিগুলোর জোট।
 
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, মধ্যসত্ত্বভোগীদের কারণে সুফল পাচ্ছেন  না গ্রাহকরা। মধ্যসত্ত্বভোগী তুলে দিতে পারলে জনসাধারণ কম দামে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। সরকারের উদ্দেশ্য সফল হবে।
 
এজন্য এনটিটিএন লাইসেন্সের সংখ্যা বাড়াতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাহলে দাম কমে প্রতিযোগিতা ও সেবার মান বাড়বে।
 
তিনি বলেন, বর্তমানে ৬ কোটি ৬০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করেন মাত্র ৬০ লাখ। বাকি ৬ কোটি গ্রাহকই ব্যবহার করেন মোবাইল ইন্টারনেট। মোবাইল ইন্টারনেটের চেয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কম। ব্রডব্যান্ড সুবিধা বাড়ালে বেশি সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা।
 
আপাতত লাইসেন্সের সংখ্যা না বাড়লেও দাম কমানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।