ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

২৬০০ ইউপিতে ইন্টারনেট, অনিয়ম হয়নি: বিসিসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৭
২৬০০ ইউপিতে ইন্টারনেট, অনিয়ম হয়নি: বিসিসি সংবাদ সম্মেলন- ছবি- রানা

ঢাকা: ইনফো সরকার তৃতীয় (ইনফো সরকার-৩) পর্যায় প্রকল্পে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার কাজে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।
 

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হচ্ছে অভিযোগ করে আসছিলো ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
 
রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে আগারগাঁওয়ে বিসিসি ভবনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তথ্যের ঘাটতি থাকায় ভুল বোঝাবুঝির কারণে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।


 
‘ইনফো সরকার-৩’ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সালের মধ্যে দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারকে ফাইবার অপটিক ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ব্যয় ধরা হয়েছে মোট এক হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সামিট কমিউনিকেশনস ও ফাইবার অ্যাট হোম কার্যাদেশ পেয়েছে।  
 
আইএসপিএবি গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে, প্রকল্পে আটটি লটের জায়গায় দু’টি লট অনুমোদন, যোগসাজশের মাধ্যমে দু’টি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া, শর্ত ভেঙে এনটিটিএনদের (ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) সেবা দেওয়া এবং মেয়াদ উর্ত্তীণের পরও কার্যাদেশ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
 
বিসিসির সংবাদ সম্মেলনে ইনফো সরকার-৩ এর প্রকল্প পরিচালক বিকর্ন কুমার ঘোষ এক নম্বর অভিযোগের বিষয়ে বলেন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো ধরনের পরিবর্তনের এখতিয়ার বিসিসি’র নেই। এ এখতিয়ার শুধু আইসিটি বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট স্টিয়ারিং কমিটির।
 
তিনি বলেন, একনেক কখনোই কতটি লটে টেন্ডার হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয় না। একনেকে উত্থাপিত ডিপিপিতে আটটি লটে টেন্ডারের কথা উল্লেখ থাকলেও ২৬০০ ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করার মতো বিশেষায়িত ও প্রয়োজনীয় কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের অপ্রতুলতা বিবেচনা করেই স্টিয়ারিং কমিটি দু’টি লট অনুমোদন করে। যা পরবর্তী ডিপিপি সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এক্ষেত্রে একনেকের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করার মতো কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি।
 
দরপত্র উন্মুক্ত না করার অভিযোগ সম্পর্কে বলা হয়, আমরা উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি আহ্বান করি। কে বা কারা অংশ নেবে, সেটা সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভর করে। সুতরাং টেন্ডারে কতটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলো তা বিবেচনা করার এখতিয়ার বিসিসি’র নেই। তাই যোগসাজশের যে অভিযোগ তা বিভ্রান্তিমূলক।
 
গ্রাহক পর্যায়ে সেবাদানে এনটিটিএনদের সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে, আইএসপিএবি সম্পূর্ণরূপে টেন্ডার ডকুমেন্ট না পড়েই অভিযোগ করেছে। আমাদের মনোনীত কোনো এনটিটিএন গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দেবে না। সেক্ষেত্রে তাদের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গের কোনো বিষয়ও জড়িত নেই।
 
দরপত্রের আওতায় ২০ বছরের কার্যাদেশ দেওয়া প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মেয়াদ কম-বেশি ২০ বছর। কেউ যদি তাদের বর্তমান বয়সসীমার বাইরে লাইসেন্সের নবায়ন না করতে পারে তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চুক্তি বাতিল হবে। যদি তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ বিবেচনা করে কার্যাদেশ দেওয়া হতো তবে বাকি সময়ে রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, আপগ্রেডেশনসহ অন্যান্য সেবা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না।
 
সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারের পরিচালক তারেক বরকতউল্লাহ বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সম্প্রসারণের এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। সৃষ্টি হবে ডিজিটাল ইকোনমিতে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার। পাশাপাশি আইএসপিদের ব্যবসায়িক সুযোগও বাড়বে। এনটিটিএন এবং আইএসপিদের সঙ্গে নিয়েই আমরা এগোতে চাই।
 
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি নেতাদের ডাকা হলেও তারা আসেননি, কোনো সাড়া দেননি বলে দাবি করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৭/আপডেট:২০৩৩ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।