ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সরকার-জনগণের দূরত্ব ঘোচাবে ই-ফাইলিং

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
সরকার-জনগণের দূরত্ব ঘোচাবে ই-ফাইলিং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু

ঢাকা: ই-ফাইলিং সরকার ও জনগণের দূরত্ব কমিয়ে জবাবদিহিতার সুযোগ বাড়াবে বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এতে সরকারের দক্ষতা শতভাগ বেড়ে যাবে বলেও আশা তার।



মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ-টুআই প্রোগ্রামের আওতায় ই-ফাইলিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন তিনি। তিন দিনব্যাপী কোর্সটি বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) শেষ হবে।

ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাওয়ার সূত্র ধরেই আজ ই-ফাইলিং উদ্যোগ। জনগণ ও সরকারের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করবে এটি। ফাইলের স্তুপ নিয়ে আর ঘোরা লাগবে না। সরকারের সঙ্গে সাধারণ জনগনের দূরত্বও কমাবে এটি।

‘এটি যেন একটি স্বচ্ছ কাঁচের ঘর। যেখানে সরকার, জনগণসহ সব থাকবে’ - বলেন তথ্যমন্ত্রী।

সরকারের দক্ষতা শতভাগ বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘ই-ফাইলিং ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ, নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ, ব্যাকআপ বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা লাগবে, যাতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না হারায়’।

প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এজন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দক্ষ জনবল। তাই এ প্রশিক্ষণ। প্রতি ৬ মাস অন্তর নিজেদের হালনাগাদ করবেন আপনারা। নিজেদের দক্ষ করে তুলবেন আপনারা।

মন্ত্রী বলেন, এটি এখন ক্ষেত্র বিশেষের বিজ্ঞান নয়, সার্বজনীন বিজ্ঞানে পরিণত হয়েছে। সারা বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে কাজ চালানো যায় এ সুবিধা নিয়ে। ভয়ের কোনো কারণ নেই। নথিভুক্ত করা, নথি ট্রান্সফার করা- এসব শিখবেন প্রথমে।

‘কৃষি ও শিল্প বিপ্লবের পর এখন চলছে তথ্য বিপ্লব। কম্পিউটার মাউসের এক টোকার অনেক ক্ষমতা এখন। আজ আপনারা প্রশিক্ষণ নেবেন, তিন বছর পরে সাধারণ জনগনও অনলাইনে সেবা নিতে শিখবে’- বলেন ইনু।

তিনি বলেন, বড় নথি কীভাবে ব্যবস্থাপনা করবেন, সেটি শিখবেন। এরপরের প্রজন্ম আসবে ইন্টারনেট ও কম্পিউটারে দক্ষতা নিয়ে। লজ্জা না পেয়ে শিখুন, না বুঝলে প্রশ্ন করুন। আপনারা প্রশিক্ষিত হলে সবাই লাভবান হবে।

ই-ফাইলিং সরকারকে জনগনের জবাবদিহিতার আরও কাছে নিয়ে আসবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ বলেন, এক সময় কাগজবিহীন অফিস হবে। এ মন্ত্রণালয়ও হয়তো এককক্ষের হয়ে যাবে। অনলাইনে ই-ফাইলিংটা চালুর উদ্যোগ তাই।

তিনি বলেন, এতে অনেক সুবিধা হবে, যেমন- কোনো জরুরি কাজে হাসপাতাল বা অন্য কোথাও যেতে হলেও কাজ আটকে থাকবে না। যে যেখানে থাকে, সেখানে থেকেই কাজ করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রতি মন্ত্রণালয়ের ৫ জনকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উপস্থিত কর্মকর্তাদের কম্পিউটারে দক্ষতা বাড়ানোর আহবান জানান তিনি। এখন থেকে মন্ত্রণালয়ের নৈমিত্তিক ছুটির যাবতীয় কাজ কাগজ ছাড়া হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
এসকেএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।