ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সিম নিবন্ধন শুরু বুধবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সিম নিবন্ধন শুরু বুধবার

ঢাকা: গ্রাহকের আঙ্গুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) গ্রহণ এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশব্যাপী মোবাইল সিম ও রিমকার্ড নিবন্ধন শুরু করছে সরকার।
 
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় রমনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন ডাক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।


 
জাতীয় ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে দেশব্যাপী এই কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
 
মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির বাংলানিউজকে বলেন, সারা দেশে এই পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন-পুনঃনিবন্ধনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে অপারেটরগুলো।
 
ভুয়া তথ্য দিয়ে সিম কিনে অপরাধ সংগঠন থেকে বিরত এবং গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য দায়িত্ব নেওয়ার পর সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেন তারানা হালিম।
 
গত ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের নামে একটি সিমের নিবন্ধনের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধন করেন। ১ নভেম্বর থেকে মোবাইল অপারেটরগুলো পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করে।
 
পরীক্ষামূলকভাবে নিবন্ধন শুরুর পর এনআইডি’র তথ্যের সঙ্গে সিমকার্ডের গ্রাহকের তথ্যের মিল পাওয়া যাচ্ছিলো না বলে অপারেটর এবং গ্রাহকেরা জানিয়েছিলেন।  
 
আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সিমকার্ড নিবন্ধনের জন্য ইতোমধ্যে ছোটখাট ত্রুটিগুলো দূর করা হয়েছে বলে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, এখন আর সমস্যা হবে না বলে আশা রাখি।
 
জাতীয় পরিচয়পত্রের  তথ্য সংগ্রহে মোবাইল অপারেটরগুলো এনআইডি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিও করেছে।
 
অ্যামটব মহাসচিব বলেন, গ্রাহকদেরকে অপারেটরগুলোর সার্ভিস সেন্টার ও কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে হবে।
 
নতুন সিম কেনার ক্ষেত্রেও গ্রাহকদের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে বিক্রি করছে অপারেটরগুলো। ১৮ বছরের নিচে কারও কাছে সিম বিক্রি করা যাবে না, সিম থাকলেও নিবন্ধন করা যাবে না। ১৮ বছরের নিচের বয়সীদের তাদের অভিভাবকের (মা-বাবা) নামে সিম নিবন্ধন করতে হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
 
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে সিম নিবন্ধন না করা হলে ওই সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান তারানা হালিম। পরবর্তীতে গ্রাহক উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারলে বন্ধ সিম চালু করার বিষয়ে বিবেচনা করবে সরকার।
 
বিটিআরসি থেকে সবশেষ অক্টোবরে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, দেশে ছয়টি মোবাইল অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৯৬ হাজার।
 
২০১৬ সালের মে মাস থেকে অনিবন্ধিত সিমের জন্য অপারেটরদের সিমপ্রতি ৫০ ডলার জরিমানার বিধান কার্যকর করা হবে বলে এরআগে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
 
** ত্রুটি দূর, সিম নিবন্ধন শুরু ১৬ ডিসেম্বর

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।